ইয়াবা কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবেনা : এমপি বদি

প্রতি রাতেই লক্ষ লক্ষ ইয়াবা খালাস হচ্ছে : উপজেলা চেয়ারম্যান

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফ উপজেলা আইন শৃংখলা ও চোরাচালান প্রতিরোধ টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়েছে। এতে ইউনিভার্সিটি ছাত্র খুন এবং শামলাপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে প্রানবন্ত আলোচনা হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্টিত হয়। সভা দু’টির সভাপতিত্ব করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিক।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি বলেন ‘সরকার ইয়াবা নির্মুলে বদ্ধপরিকর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের জনসভায় এব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমানে টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালান এবং খুচরা বিক্রেতা ও সেবনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে একাধিক চালান ধরাও পড়েছে। বিশেষ করে খুচরা বিক্রেতা এবং সেবনকারীদের সংখ্যা গ্রামাঞ্চলে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রাম পুলিশ, মেম্বার, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেয়র যৌথভাবে নিরপেক্ষভাবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ তালিকা করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তা প্রতিরোধ করতে হবে। সীমান্তে সকল বাহিনীর গোয়েন্দা এবং সোর্স থাকা সত্বেও প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদাররা ধরা পড়ছেনা। কারা ব্যবসায়ী আর গডফাদার তা আইনশৃংখলা বাহিনী ও সাংবাদিকরা জানেন। নীরব থাকলে আল্লাহর গজব পড়বে। ইয়াবার যোগান বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দাম কমে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে কন্ট্রাকের মাধ্যমে ইয়াবার বড় বড় চালান খালাস হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে’। এব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করতে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, সাংবাদিক এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন ‘ইয়াবা কোন অবস্থাতেই সহ্য করা হবেনা। এ ইয়াবাই সব কিছু সর্বনাশের মুল। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর পেছনেও ইয়াবা। আপনারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করুন। আমি বা অন্য কেউ তাদের জন্য সুপারিশ এবং তদবির করবেনা। সে যত বড় টাকাওয়ালা ও প্রভাবশালী হউক, আইনের আওতায় আনতে হবে’।

উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ বলেন ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাদের রোড পরিবর্তন করে বর্তমানে বঙ্গোপসাগর উপকুলবর্তী ঘাট ব্যবহার করছে। টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা চোরাচালান আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগর পথে যাচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। বিশেষ করে মহেশখালীয়াপাড়া, তুলাতলী, লম্বরী এবং আশপাশের ঘাট দিয়ে প্রতি রাতেই লক্ষ লক্ষ ইয়াবা খালাস হচ্ছে। ইয়াবার ব্যাপারে কোন প্রকার ছাড় দেয়া যাবেনা। সে যত বড় ক্ষমতাধর, টাকার মালিক বা নিকটাতœীয় হউক। সকল মহলের আন্তরিক ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ইয়াবা নির্মুল করে টেকনাফের দুর্নাম ঘুচাতে হবে’। টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ সুসন বড়–য়া, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ রফিক উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিস তাহেরা আক্তার মিলি, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন, সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী টেকনাফ স্টেশনের পেটি অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন খান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বিজিবির নায়েব সুবেদার মোঃ আলী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক নাসির উদ্দিন, আনসার-ভিডিপি অফিসার আমান উল্লাহ, কমিটির সদস্য আলহাজ্ব জহির হোসেন এমএ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাওঃ আমির হোসেন, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মিনারুল ইসলাম, টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান প্যানেল-১ মোঃ আবদুল্লাহ মেম্বার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ :

সভায় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে শাহপরীরদ্বীপ থেকে নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলে, জেলে পরিবার এবং ভোক্তা সাধারণের সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করে বলা হয় বর্তমানে গরীব অসহায় জেলে পরিবারগুলোতে হাহাকার চলছে। এ অবস্থা চলছে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। অপরাধ প্রবণতাও বাড়ার আশংকা রয়েছে। এ ব্যাপারে এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি বর্তমানে নাফ নদীর পরিস্থিতি জানতে চান। সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বাহিনী টেকনাফ স্টেশনের পেটি অফিসার মুজাহিদুল ইসলাম ও বিজিবির নায়েব সুবেদার মোঃ আলী জানান, নাফ নদীতে ইয়াবা চোরাচালান নেই বললেই চলে। বিষয়টি এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি সংসদে উত্থাপন করবেন জানিয়ে অসহায় জেলেদের দুর্দশা লাঘবে নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্দের সরকারী নির্দেশনা প্রত্যাহারে সুপারিশ করা এবং জেলে পরিবার গুলোকে রেশনের আওতায় আনা হবে বলে জানান।

শামলাপুর ঢালায় ডাকাতি :

বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওঃ আজিজ উদ্দিন বলেন ‘পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগে হোয়াইক্যং-শামলাপুর ঢালায় আবারও ডাকাতি শুরু হয়েছে। পুলিশ ঢালায় ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছেনা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ৮নং অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প হিসাবে ঘোষণা দিয়েছেন। এ অস্থায়ী ক্যাম্পটি সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে এনজিওদের সহযোগিতায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে সরকারি খাস জমি না থাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে ঝুপড়ি করে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা। সরকারের একাধিক মন্ত্রী, সাবেক সরকার প্রধান, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, দেশী-বিদেশী প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। এখানে নতুন অনুপ্রবেশকারী ৮০ হাজার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। আরও বিশ হাজার রোহিঙ্গা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে রয়েছে। বর্তমানে সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের নিবন্ধনের কাজ চলছে। আমরা মানবতার কারণে সরকারী নির্দেশনা মতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সেনা বাহিনীসহ আইন শৃংখলা বাহিনীকে সর্বাতœক সহযোগিতা করছি। তাছাড়া স্থানীয় পরিষদের মেম্বারগণ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মানকতার সেবায় সাধ্যমত সহযোগিতা করছেন। কিন্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে রোহিঙ্গাদের অবস্থান নিয়ে ভাড়া নেয়ার মিথ্যা অজুহাতে ১৩ নভেম্বর বিকালে সহোদর দুই ভাইসহ তিন জনকে র‌্যাব আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাস করে সাজা দিয়েছেন। অপর ২ জনকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আটক তিন জন হলেন নয়াপাড়া গ্রামের কাদের হোসেনের দুই পুত্র জুহুর আলম (৪৭), আব্দুল মাবুদ (৩৮), আজিজুর রহমানের পুত্র সাকিব (৪২)। এধরণের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ভাবে পরস্পর শত্রুতা ও হয়রানি করার প্রবনতা এবং আশংকা দেখা দিয়েছে। সরকার বলছেন রোহিঙ্গাদের কারণে বিনা দোষে স্থানীয়দের হয়রানী না করতে। কিন্ত মিথ্যা অজুহাতে তদন্ত না করে এভাবে বাজার থেকে ধরে নিয়ে সাজা দিয়ে দিয়ে চালান দেয়া খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা বিনা ভাড়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছে। আর মানবতা দেখাতে গিয়ে জমির মালিকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। স্থান সংকুলান হলে বাহারছড়ার সব রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে গেলে আমরা সব দিক দিয়ে খুশী। কিন্ত বিনা অপরাধে এভাবে হয়রানীর শিকার হতে চাইনা। রোহিঙ্গাদের বিষয়ে খরচ করা বিশাল অংকের টাকার বিল এখনও পাওয়া যায়নি। তাছাড়া অসহায় অসুস্থ একজন লোককে মানবতা দেখাতে চিকিৎসা সেবা বর্তমানে মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে জেল খাটছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক’।

সেন্টমার্টিনদ্বীপ :

সেন্টমার্টিদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ বলেন ‘সেন্টমার্টিদ্বীপ দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এজন্য শুধু টেকনাফ নয়, পুরো জেলাবাসী গর্বিত। কিন্ত সাগর বেষ্টিত দুর্গম এ দ্বীপে বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে কাংখিত উন্নয়ন হচ্ছেনা। এনিয়ে দেশী-বিদেশী পর্যটকগণ সরকারের সমালোচনা করছে। তাছাড়া পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনে বসবাস করার জন্য সেমিপাকা ঘর তৈরী এমনকি সংস্কার-মেরামত করতে পর্যন্ত বাধা দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া দ্বীপে বহিরাগত সৌখিন ফটোগ্রাফাররা কৌশলে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের টার্গেট হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয় উঠতি যুবক। অনেক দোকানপাটে ট্রেড লাইসেন্স নেই। বহুবার মাইকিং করার পরও ব্যবসায়ীদের সাড়া মিলছেনা’।

তীব্র যানজট :

টেকনাফ পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ ইসলাম বলেন ‘টার্মিনাল চালু না হওয়ায় টেকনাফ স্টেশনে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আজ টেকনাফ পৌরসভা থেকে উপজেলা পরিষদে আসতে ৩ মিনিটের রাস্তা ৩০ মিনিট লেগেছে। একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। পৌর এলাকার পাড়ায়-মহল্লায় অবৈধ দোকানপাট, খুচরা ইয়াবা বিক্রেতা, অবৈধ মোটর সাইকেলের তৎপরতা আশংকাজনক বৃদ্ধি পেয়েছে। দোকানপাটে ট্রেড লাইসেন্স নেই। বহুবার মাইকিং করার পরও ব্যবসায়ীদের সাড়া মিলছেনা। প্রধান সড়ক জবরদখল করে দোকানের মালামাল, নির্মাণ সামগ্রী বেচাকেনা চলছে। বার বার বলা হলেও পুলিশী টহল এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছেনা’।

মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা :

এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদের সভাপতিত্বে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্টিত হয়। এতে দপ্তরওয়ারী বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারী দপ্তরসমুহের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এতে উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি বলেন ‘সরকার সারা দেশের ১০১টি উপজেলাকে মডেল উপজেলা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তম্মধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকা টেকনাফ ও উখিয়া রয়েছে। বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলছে। আগামীতে জাপান জাইকাসহ আরও উন্নয়ন হবে। কিন্ত কারও গাফেলতির কারণে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হলে বা যথাসময়ে শুরু এবং শেষ করতে ব্যর্থ হলে তা বরদাশত করা হবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্দ থেকে উখিয়া টেকনাফের জন্য ২০০টি গভীর নলকুপ, ২০ হাজার পিস কম্বল আনা হয়েছে। আগামীতে আরও আনা হবে –ইনশাআল্লাহ’। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমদ বলেন ‘ঠিকাদার সিন্ডিকেট এবং কাজ বিক্রির কারণে মান সম্মত কাজ ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে’।

চেয়ারম্যান অনুপস্থিত :

সভায় ১নং হোয়াইক্যং মডেল ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ নুর আহমদ আনোয়ারী, ২নং হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এইচকে আনোয়ার সিআইপি, ৩নং টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া, ৪নং সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর হোসেন উপস্থিত ছিলেননা। এ জন্য এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি সিআইপি তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদ হোসেন সিদ্দিককে নির্দেশ দেন। ##