চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহতের ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে প্রশাসন।

সোমবার রাতে নিহত নগরীর অ্যাপোলা শপিং সেন্টারের দোকান কর্মচারী ঝন্টু দাশের বড় ভাই অরুণ দাশ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় এ মামলা করেন।

ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর নুরুল হুদা বলেন, “এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করতে হয়। সে অনুযায়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।”

ঘটনার পর থেকে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, “অন্যান্য আরও অনেক কমিউনিটি সেন্টারে মেজবান অনুষ্ঠিত হলেও সেগুলোতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। কেন এখানে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় হতাহতের পর পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ওই কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”

এদিকে, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া রীমা কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মান্নান তাদের প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, “সোমবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থাকলেও সেটি হয়নি।”

এদিকে পদদলনে আহত মোট ১৩ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আইসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনজনের মধ্যে সুনীল কান্তি নাথ নামে একজনের অবস্থা এখনও সঙ্কটাপন্ন।
আহত বাকিদের মধ্যে সাতজন চট্টগ্রাম মেডিক্যালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ও দুইজন ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম মেডিকেলের এনেসথেশিয়া ও আইসিইউ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হারুনুর রশিদ।

এছাড়া অপর একজন নগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।