মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখা দিন ব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী পালন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে ভোর ৬ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭ টায় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন, ৭.৩০ মিনিটে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান সকাল ৮ টায় বদ্যভুমিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, বিকেল ৩ টায় শহীদ দৌলত ময়দানে হতে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালী এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এম.পি., কক্সবাজার-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এম.পি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালা উদ্দিন সিআইপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম, এড. রনজিত দাশ, মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি নজিবুল ইসলাম, শ্রমিকলীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম, কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, যুব মহিলা লীগ সভাপতি আয়েশা সিরাজ, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন তানিম। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস.এ. মনজুর।

আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বাঙালী জাতি কখনও স্বাধীন ছিল না। যুগে যুগে অনেক নেতা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখালে ও তা বাস্তবতা পায়নি। একমাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা, বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা এসেছিল ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীনতার পর তিনি যথন হত দরিদ্র, যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে নিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট তাঁকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। খন্দকার মোস্তাক, জিয়াউর রহমান গং স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড সৃষ্টি করেছিল। নেতৃবৃন্দ বলেন ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের এবং স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির চক্রকে এদেশে পুনঃবাসন করেছিল। তিনি গণতন্ত্র হত্যা করে সামরিক শাসন জারি করে রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করেন। জিয়াউর রহমানের পর এরশাদ, খালেদা জিয়া একই কায়দায় স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে নিয়ে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারী একতরফা নির্বাচন দিয়ে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে হত্যা করে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০০৬ সালে আবারো এক তরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করে খালেদা জিয়া অনাকাঙ্খিত একটি সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে পুনরায় গণতন্ত্র হত্যা করে। নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা বার বার গণতন্ত্র হত্যা করে, লুট পাট করে দূর্নীতি করে দেশকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা করে এবং স্বাধীনতা বিরোধী সাথে জোট করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের জাতি কখনও ক্ষমা করবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এস দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তখনই খালেদা জিয়া আবারো নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশকে ধ্বংস করার পায়তারা চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ, খালেদা জিয়ার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার জন্য নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন-যারা রাতের অন্ধকারে ক্ষমতা দখল করে এবং রাজাকারদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয় তাদের মুখে গণতন্ত্র রক্ষার কথা শোভা পায় না। সভায় উপস্থিত ছিলেন-এডভোকেট আমজাদ হোসেন, এড. বদিউল আলম সিকদার, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এড. ফরিদুল আলম, তাপস রক্ষিত, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন, খোরশেদ আলম কুতুবী, এ.টি.এম. জিয়া উদ্দিন জিয়া, ইউনুছ বাঙ্গালী, হেলাল উদ্দিন কবির, আবু তাহের আজাদ, জি.এম.আবুল কাসেম, বদরুল হাসান মিলকী, শহর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বাবু উজ্জ্বল কর, জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. জিয়া উদ্দিন জিয়া, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হামিদা তাহের, শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক শফি উল্লাহ আনসারী, যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা চৌধুরী লুনা, আশরাফ জাহান কাজল, শহর আওয়ামী লীগ নেতা-নাজমুল হোসেন নাজিম, আসিফউল মওলা, সেলিম নেওয়াজ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, রফিক মাহমুদ, হাসান মেহেদী রহমান, মোঃ সাইফুদ্দিন, নুরুল আলম পেটান, এ.বি. সিদ্দিক খোকন, শাহানা আক্তার পাখি, আবদুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, জাফর আলম, দোলাল দাশ, আহমদ উল্লাহ, আজিম উল হক আজিম, তাজ উদ্দিন, সেলিম ওয়াজেদ, খোরশেদ আলম রুবেল, আবদুল মজিদ সুমন, মোঃ ইলিয়াছ, আমির উদ্দিন প্রমুখ।