শাহেদ মিজান, সিবিএন:
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে পরিদর্শনে এসেছেন ১৫টি দেশের ১৯ জন দূত। দুপুর দেড় টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে দেখেন এবং নির্যাতিত কিছু রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিশেষ আমন্ত্রণে এরা বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। দেশগুলো হচ্ছে বসনিয়া-হারজেগোবিনিয়া, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, ইথিওপিয়া, জর্জিয়া, গ্রিস, মরিশাস, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, জাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, চেক রিপাবলিক, অস্ট্রিয়া, গানা, নিউজিল্যান্ড, কেনিয়া ও ফিজি। তাদের সাথে এসেছন, দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, উপ-হাইকমিশনার রাকিবুল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন এর সাথে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা বসেন। আলোচনা কালে জেলাপ্রশাসক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য বস্ত্র, বাসস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেনিটেসন, নিউট্রিশনসহ, বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন রাষ্ট্রদূতদের। তারা এসব অগ্রগতি সম্পর্কে জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারে প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরে দুপুর দেড় টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে দেখেন এবং নির্যাতিত কিছু রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন।

উল্লেখ্য, ২৩ নভেম্বর সই হওয়া প্রাথমিক চুক্তি মতে দুই মাসের মধ্যে বাস্তুুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরানোর কাজ পুরোপুরি শুরু করার ‘বাধ্যবাধকতা’ রয়েছে। ওদিকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বর্বর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। সেখানে মিয়ানমার জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া, তাদের ওপর বর্মী নির্যাতন বন্ধ, বাস্তুুচ্যুতদের নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন এবং চলমান রাখাইন সংকটের দ্রুত এবং স্থায়ী সমাধানে ১২ দফা প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে ইইউ পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার সেই প্রাবের ওপর আলোচনা শুরু হলেও ভোটাভুটির ফল জানা যায়নি।