নুসরাত পাইরিন:
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে সহ নানান ধরনের অনুষ্ঠান। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন এই জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন। ঐ সময়ে দেশকে পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্ত করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাগ্রত হয়েছিল বীর বাঙ্গালী জাতি। আর সেই মহান নেতার নেতৃত্বেই আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা।আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবদীপ্ত অধ্যায় রচিত হয়েছে একাত্তরের ডিসেম্বর মাসের এ দিনেই। ফলে লাভ করি এক অনির্বচনীয় আত্মবিশ্বাস আর এক অনিন্দ্য সুন্দর ভবিষ্যত। যা এখন আত্মমর্যাদায় এর সুফল ভোগ করছি আমরা সকলে। নতুন প্রজন্মদের স্বাধীনতা র্অর্জনের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের জাতির জনকের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া মহান বিজয় দিবসে জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক মহোদয়।

বেলুন ওড়ানো ও কবুতর ছেড়ে দেয়ার পর শুরু হয় বিভিন্ন সরকারী দপ্তর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ। এতে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। এ সময় পুলিশ সুপার ড, একেএম ইকবাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।এরপরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন সংসদ সদস্য খোরশেদ আরা হক।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান,জলো ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়ুয়া অপু উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব ) কাজি মো: আবদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মো: মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নোমান হোসেন, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।