এম.ইব্রাহিম খলিল মামুন:
রামুর পেঁচার দ্বীপে রেজু খালে শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারী জমি ভরাট কাজ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রামু উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে এ কাজ বন্ধ করে দেন। অভিযানের নেতৃত্বদেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:শাহজাহান মিয়া ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব।
জানাযায়, রামু উপজেলার পেচার দ্বীপ এলাকায় মীর আক্তার হোসেন লি: নামের একটি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে পার্শ¦বর্তী রেজু খাল থেকে বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। উত্তোলিত এ বালু দিয়ে মারমেইড ইকো-রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সরকারী জমি অবৈধভাবে ভরাট করছে। ইতিমধ্যে প্রায় দুই একর সরকারী খাস জমি ভরাট করে ফেলেছে। বিষয়টি খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রামু উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানকালে প্রতি ঘন্টায় ৫০০ সিএফটি বালু উত্তোলন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন, যে অভিযোগে এ অভিযান করা হয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রেজু খালের প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সরকারী খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে ভরাট ও এসব কাজে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি না নেয়া।
পরিবেশের এ কর্মকর্তা বলেন, বালু দিয়ে বীচ ভরাট করার কারণে কাছিম চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং রেজু খাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি হচ্ছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ প্রসঙ্গে মীর আক্তার হোসেন লি: এর পক্ষে প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ-বাহিনীর অনুমতি নিয়ে আমরা কাজ করছি। তাই এটি কোন ভাবে অবৈধ নয়।’
চট্রগ্রম বন্দরের সদস্য(প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, ‘রেজু নদী থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারী জমি ভরাট করার অনুমতি আমরা কাউকে দিই নাই।’

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহজাহান মিয়া বলেন,‘ এভাবে খাল থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন বীচ এলাকায় সরকারী জমি ভরাট করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই প্রাথমিক ভাবে কাজ বন্ধ করে ওই এলাকায় সরকারী সাইনাের্ড পুতে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।