মো. ফারুক, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেলুয়ার পাড়া এলাকার দীর্ঘ বছরের চলাচল ফুটখালী খাল দখল করে ঘেরা দেয়ায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার(১২ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে পৃথক এ অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসীর পক্ষে মৃত নুরুল কাদেরের পুত্র আজগর আলী, ফিরোজ আহমদ ও মৃত নুরুল হকের পুত্র আবদুল গফুর। নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবউল করিম বিষয়টি সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে নির্দেশ প্রদান করেন।
লিখিত অভিযোগে বাদিরা উলেখ করেন, ফুটখালী খালটি দীর্ঘদিনের চলাচল খাল। এ খাল থেকে স্থানীয় অসহায় মানুষজন মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এছাড়াও শতশত একর জমির ফসল উৎপাদন করে থাকে এ খালটির পানি নিয়ে। ইতিমধ্যে ওই চলাচল খালে ঘেরাও দিয়ে দখল করে একই এলাকার মৃত মিয়াজানের আবু জাফর তার পুত্র রুহুল কাদের। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকিসহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দিচ্ছে তারা।
আরো উলেখ করেন, বিবাদীরা খুবই প্রভাবশালী। সংরক্ষিত বনের পাশে স-মিল বসিয়ে অবৈধভাবে গাছ সিরাই করছে। যার কারণে বনবিভাগের গাছ উজাড় করছে তাদের নেতৃত্বে একটি চক্র। এটি বন্ধ না করলে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি সাধণ হবে।
এ বিষয়ে অভিযোগের বাদি আজগর আলী বলেন, বিবাদীরা খুব প্রভাবশালী। তাদের কাছে অন্যায়টা হচ্ছে ন্যায়। চলাচলের খাল দখল, অবৈধ স-মিল ও আদম ব্যবসা করে জনগনকে হয়রানি করা তাদের নিত্যসঙ্গি। তাদের ভয়ে কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আরো কয়েক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলে রুহুল কাদেরের প্রবাসী ভাই মোঠোফোনে হুমকি দিচ্ছে দেখে নেওয়ার। যা আমার অডিও রেকর্ড আছে। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে রুহুল কাদের বলেন, চলাচলের খালে ঘেরা দেওয়াটা আমাদের অন্যায় হয়েছে। তা আমরা নিয়ে ফেলব। আর স-মিল দীর্ঘ ৪বছর ধরে চলছে। অন্যেরা যেভাবে চালায় আমরাও সেভাবে চালাচ্ছি। হুমকি দেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেননা বলে জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।