‌শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি:

আগামী ২৩ ডিসেম্বার ২০১৭ সারাদেশে একযোগে উদযাপিত হবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস (২য় রাউন্ড) ক্যাম্পেইন। এ উপলক্ষে নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে উপজেলা অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বার) সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাফর মোঃ সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস,এম সরওয়ার কামাল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু আহাম্মেদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দ্বিতীময় চাকমা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি,এস ডাঃ মাহাফুজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি শামীম ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কাজল প্রমূখ।

সভায় জানানো হয়, মানবদেহে ভিটামিন ‘এ’ তৈরি হয় না তাই এটা বাইরে থেকে গ্রহণ করতে হয়। শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাসে মায়ের দুধে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ থাকে কিন্তু পরবর্তীতে শিশুর বাড়ন্ত সময়ে অধিক ভিটামিন ‘এ’র চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। অল্প সময়ে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি কৌশল যা পরবর্তী ৪-৬ মাস পর্যন্ত শিশুর দেহে ভিটামিন ‘এ’ স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম। পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সময়ে তাদেরকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন ‘এ’ অভাবে চোখের ক্ষতিকর প্রভাবসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, রক্তস্বল্পতা এবং ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি ও ত্বক মলিন হয়ে যায়।

সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ সেলিম বলেন প্রতিটি শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে প্রয়োজন অভিভাবকদের সচেতন করা ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারনার। এ জন্য তিনি সরকারি-বেসরকারি মিডিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।