আবদুল মালেক সিকদার, রামু:
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বি.কে.এস.পির অধিগ্রহণকৃত জমির ন্যায্যমূল্য চাই। নইতো আমাদের রক্ত ও ঘামের উপরে গড়ে উঠুক বি.কে.এস.পি এ শ্লোগানটি ধারণ করে রামু জোয়ারিয়ানালা স্টেশনে বি.কে.এস.পির জমির মালিকদের মানববন্ধন ১১ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হয়।

রামুতে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বি.কে.এস.পির আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকার ২৮.৬৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে। এতে কিছু জমির মালিককে দেড় গুণ হিসেবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও অন্যান্য মালিকেরা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় ক্ষুদ্ধ জমির মালিকেরা।

মানববন্ধনে জমির মালিকেরা বলেন, বি.কে.এস.পি হোক আমরা চাই। তবে আমাদেরকে সরকার থেকে তিন গুণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সরকারী সার্ভেয়ার ও জমির মালিকদের সমন্বয়ে জমি পরিমাপ করিতে হবে এবং আমাদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাটি ভরাট করতে দিব না। পাশর্^বর্তী এলাকার জমির দাম অনেক বেশি। আমাদের ন্যায্য মূল্য দিচ্ছে না সরকার। রাস্তার পাশে আমাদের খতিয়ানভূক্ত এক একর ৪০শতক জমির অধিগ্রহণ না করে ঠিকাদারদের বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বি.কে.এস.পির দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জমির মালিকেরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেন, জমির মালিক এজাহার সওদাগর, রফিক আহমদ, আবু তাহের সিকদার, মীর কাসেম, জয়নাল আবেদীন, হালিম, মোঃ সোহেল, শফিকুর রহমান, বাদশা মিয়া, গুরা মিয়া, আবছার কামাল, আকতার কামাল, গোলাম কবির সওদাগর, মোতাহের মিয়া, ইমরান সরওয়ার, নুরুল হক, হাজী আবদুস শুক্কুর, জসিম উদ্দিন।

উল্লেখ্য যে, জমির মালিকদের ন্যায্য দাবী না দিয়ে ও না জানিয়ে বি.কে.এস.পির টিকাদারেরা রাতের অন্ধকারে ৭ই ডিসেম্বর বি.কে.এস.পির নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাট করে ও সাইবোর্ড টাঙেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে জমির মালিকেরা গত ৮ই ডিসেম্বর বিকাল ২টায় বি.কে.এস.পির নির্ধারিত স্থানের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে দেয়।

৯ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় রামু কক্সবাজার আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সামছুর রহমান (বিজিবিএম, পিবিজিএম, এনডিসি,এএফডব্লিউসি, পিএসসি) মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বি.কে.এস.পি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন এবং মালিকদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় জমির মালিকদের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার আশ^াস প্রদান করেন।

এব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৮০% মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ৩গুণ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ক্ষতিপূরণ দিলে আমরা তাদেরকে দেব।