রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গভীর রাতে সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে।

নিহতরা হলেন- গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর ভুবনপাড়া ট্যাকপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু আশরাফ (২৯) এবং মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মিছু শেখ (২৭)। তাদের দুজনের বাড়ি পাশাপাশি এবং সম্পর্কে তারা দুই চাচাতো ভাই।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সানাউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মিছুর লাশ তার বাড়িতে রয়েছে। তবে আবু আশরাফের লাশ রয়েছে সীমান্তের ওপারে। ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা মুঠোফোনে এপারের গরু ব্যবসায়ীদের তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

চেয়ারম্যান জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে আশরাফ ও মিছুসহ আরও কয়েকজন গরুর রাখাল ডিএমসি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভারত থেকে বাংলাদেশের ভেতরে গরু ঢোকানোর চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বরমতপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যদের নজরে আসে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই আশরাফ ও মিছু নিহত হন।

পরে নিহত মিছুর লাশ তার সহযোগীরা বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে আশরাফের লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ।

ঘটনাস্থলে বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মোহাম্মদ সাজ্জাদ এবং ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল শামীম মাসুদ আল ইফতেখার অবস্থান করছেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শামীম মাসুদ আল ইফতেখার মুঠোফোনে জানান, নিহত আশরাফের লাশ ফেরত পেতে ডিএমসি সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে। বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে এই বৈঠক হচ্ছে।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি জানান, মিছুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হবে। আশরাফের লাশ পাওয়া গেলে সেটিরও ময়নাতদন্ত হবে। আর তাদের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।