মো. নাজিম উদ্দিন, দক্ষিন চট্টগ্রাম:
দক্ষিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় এক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরনে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চরতি ইউনিয়নের দূরদূরী উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অতিরিক্ত ফি আদায় করায় পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু শংকর বসাককে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় প্রধান শিক্ষক শংকর বসাকের অফিস কক্ষের বাইরে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরনে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি ছিল ১৪-১৫শ’ টাকা। ক্ষেত্র বিশেষে পরীক্ষার কেন্দ্র ফি ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য ফি’সহ সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বোর্ড অনুমোদন করেছে। দূরদূরী উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বোর্ডের নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে আদায় করছে ৭ হাজার টাকা। এ নিয়ে এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের সাথে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টদের বাকবিতন্ডা ও একপর্যায়ে সমঝোতা বৈঠক হয়।
অভিভাবক মোহাম্মদ ফারুক ও পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ তারেক জানান, গত সপ্তাহে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দক্ষিন জেলা আওয়ামী যুবলীগ সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ স্বারথী চৌধুরী অভিভাবদের চাপের মুখে সকল পরীক্ষাথীদের জন্য ফরম পূরন ফি ৩ হাজার ৫শ’ টাকা নির্ধারন করেন। সে মোতাবেক গতকাল সকালে অভিভাবকসহ পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরন করতে গেলে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে পূনরায় ৭ হাজার টাকা দাবী করে বসেন এবং অন্যথায় ফরম পূরনে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে সকাল থেকে অভিভাবক, পরীক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সাথে প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা কাটাকাটি ও পর্যায়ক্রমে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত অভিবাবক ও এলাকাবাসী মিলে অফিসে তালা লাগিয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। অভিভাবকদের অভিযোগ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নিজের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে প্রধান শিক্ষককে ৭ হাজারের নীচে ফরম পূরনে নিষেধ করে দেন। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও দক্ষিন জেলা আওয়ামী যুবলীগ সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ স্বারথী চৌধুরী বলেন,এখানে টাকা কম বেশী নেয়ার বিষয়টি সত্য নয় আসল ঘটনা হচ্ছে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরনে ব্যর্থ হলে তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে। এখানে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। তাছাড়া আমার সাথে এ বিষয়ে কোন কথাও হয়নি।
সাতকানিয়া থানার এসআই এসএম জাহেদ হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাহির তালা লাগানো অফিসের ভেতওে প্রধান শিক্ষক। বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাতীদের বুঝিয়ে শান্ত কওে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আসলে ওই বিদ্যালয়ে ১১৪ জন পরীক্ষার্থীও মধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষায় ৫০ জন পাস করেছে,বাকীরা ফেল করেছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূনঃ নির্বাচনী পরীক্ষায় দিয়ে উত্তির্ণ হওয়ার শর্ত দিলে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরাই ফরম পূরনের জন্য এ কাজ করছে।