অনলাইন ডেস্ক : গত বুধবার টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন তসলিমা নাসরিন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একজন মুসলিম পণ্ডিত আরেকজন গেরুয়া পরা ব্যক্তির পাত্রে মদ ঢেলে দিচ্ছেন। কিন্তু বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট ভুয়া খবরটি ফাঁস করে দেয়ায় ধরা খেয়ে গিয়েছেন তিনি।
.
শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে তসলিমার পোস্ট করা ওই ছবিটি নেহাতই কাঁচা হাতে ফটোশপ করা। ছবিতে গেরুয়া বসন পরিহিত ব্যক্তির গ্লাস স্বচ্ছ তরলে পূর্ণ রয়েছে। কিন্তু মুসলিম ব্যক্তির হাতে ধরা বোতলে রয়েছে লালচে রঙয়ের হুইস্কি।
পোস্টটির সঙ্গে কোনো লিখিত বক্তব্য যোগ করেননি তসলিমা। ভুয়া ছবি পোস্ট করায় সামাজিক মাধ্যমে তার ব্যাপক সমালোচনা শুরু হওয়ার পরও তিনি সেটা ডিলিট করেননি।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া হোক্স স্লেয়ার নামের একটি সাইট প্রথম তসলিমার ছবিটিকে ভুয়া বলে চিহ্নিত করে। সোশ্যাল মিডিয়া হোক্স স্লেয়ার ফেক নিউজ বা ভুয়া খবর বিশ্লেষণ করে সেগুলো সঠিক উৎসমূল মানুষের সামনে প্রকাশ করে।
ওই সাইটটি মুসলিম ব্যক্তি ও গেরুয়া পরা লোকটির আসল ছবিটিও প্রকাশ করেছে। মূল ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল থেকে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন টুপি পরা লোকটি।
বুম লাইভ নামের অপর একটি ফেক নিউজ যাচাই করার সাইটও নিশ্চিত করেছে যে তসলিমা ফটোশপ করে ছবিতে পানিকে মদ বানিয়েছেন।
সলিল ত্রিপাঠি নামের একজন ভারতীয় লেখক ও কলামিস্ট টুইটারে তসলিমার ভুয়া ছবি পোস্ট করার খবরটি পোস্ট করেন। সঙ্গে প্রশ্ন রাখেন, ‘তিনি (তসলিমা) ঐশ্বরিকগুণ সম্পন্ন এ ব্যাপারে কারও সন্দেহ আছে?’
এর আগেও টুইটারে উদ্ভট পোস্ট দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। অক্টোবর মাসের ১ তারিখে একজন শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারীর গুলিতে ৫৮ জন মানুষ নিহত হয়। ঘটনার পর পর কিছু যাচাই না করেই তসলিমা তার টুইটে লেখেন, ‘সম্ভবত আইএসের কোনো মুসলিম সন্ত্রাসী এই আক্রমণ চালিয়েছে। মানুষজন একারনেই মুসলিমদের ঘৃণা করে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।