ডেস্ক নিউজ:
উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের কাজ এগিয়ে চলছে। সাতটি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে চলমান এ নিবন্ধনের কাজ করছে সরকরের পাসপোর্ট অধিদফতর।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৮৬০ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে। সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ১৩৫ জন পুরুষ ও ১৬৬ জন নারী মিলে ৩০১ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ৫৫৩ জন পুরুষ ও ৫৪৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯৬ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৫২৭ জন পুরুষ ও ৭০৯ জন নারী মিলে ১ হাজার ২৩৬ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১ হাজার ১ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩৯ জন নারী মিলে ২ হাজার ৪০ জন, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ২০২ জন পুরুষ ও ২২৩ জন নারী মিলে ৪২৫ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৯২২ জন পুরুষ ও ৯৯১ জন নারী মিলে ১ হাজার ৯১৩ জন, শামলাপুর ক্যাম্পে ১৭ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী মিলে ৪০ জন এবং পরের দিনে ৭টি কেন্দ্রে মোট ৭ হাজার ৫১ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

এ ছাড়া সমাজসেবা অধিদফতর এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম রোহিঙ্গা শিশুকে শনাক্ত করেছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক, ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭০ জন।

অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে বলেও সরকারি তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারি অপর এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত আছে।

উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষে গতকাল ১৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২২ ট্রাকের মাধ্যমে ৮ মেট্রিকটন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৮০৬ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৭৬২ প্যাকেট শিশুখাদ্য, ১ হাজার ৮৮৭ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ১১ হাজার ৫২৩ পিস পোশাক, ২১ হাজার ৯৫০ পিস গৃহস্থালীসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।