ইমাম খাইর, সিবিএন:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ফরিদুল আলম (২৫) নামে যুবকের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝাঝরা হয়ে গেছে পুরো শরীর।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টার দিকে সীমান্তবর্তী ৫৬ নং পিলারের বড় ছনখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ফরিদুল আলম নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের হামিদিয়াপাড়ার ইছাকলির ছেলে।

তাকে গুরুতর অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণে তাকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে চট্টগ্রাম নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে কক্সবাজার শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে স্বজনেরা।

সর্বশেষ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২ পর্যন্ত পাওয়া খবরে সে আশঙ্কামুক্ত নয় বলে চিকিৎসক জানিয়েছে। সেই পর্যন্ত দুই ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে তাকে।

এদিকে চিকিৎসাধীন হাসপাতালে দেখা হয় মাইন বিস্ফোরণে আহত ফরিদুল আলমের মা ষাটোর্ধ ছলিমা খাতুনের সাথে। সাথে রয়েছেন অপর ভাই ইমাম হোসেনসহ স্বজনেরা।

উপড়ে যাওয়া বাম পায়ের বাকি অংশ।

তারা সিবিএনকে জানায়, এলাকার আরেকটা ছেলের সাথে চারণ ভূমি থেকে গরু খোঁজতে গিয়েছিল ফরিদ। এ সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। সাথে থাকা অপরজন অক্ষত রয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তছলিম ইকবাল চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার জন্য তিনি সমবেদনা জানান।

একই সঙ্গে আহতের পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানান পার্বত্য এলাকার জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধি।