বিশেষ প্রতিবেদক
উখিয়ার জালিয়াপালং এলাকায় ১৬ বছর বয়সী তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে দুই বখাটে যুবক। ২৮ নভেম্বরের দিবাগত রাতে স্থানীয় জুম্মাপাড়া রাস্তার মাথা সংলগ্ন চেরাংঘর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষিতার পিতা ভিক্ষুক হওয়ায় ধর্ষকদের বিপক্ষে কেউ মুখ খোলতে সাহস করছেনা।
এ ঘটনায় গত দুই দিন আগে থানায় এজাহার দিয়েছে ধর্ষিতা। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে দুইজনকে। তারা হলো- জালিয়াপালং দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সেলিম উদ্দিন এবং আবদুল হাকিমের ছেলে নুরুল ইসলাম। তবে ধর্ষিতার স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার ৫ দিন পার হলেও মামলা নিয়ে রহস্যজনক আচরণ করছে থানার ওসি। ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন।
ধর্ষিতার সাথে কথা বললে (মুঠোফোনে রেকর্ড সংরক্ষিত) সে জানায়, আমি বান্ধবি মুনমুন এর বাসায় সোমবার ২৭ নভেম্বর) বেড়াতে যাই। পরের দিন মঙ্গলবার রাতে টমটমে করে বাড়ী ফিরছিলাম। টমটমে বসা যাত্রী বেশী দুই যুবক আমার কাছে জানতে চায়- আমি কোথা থেকে আসছি, কোথায় যাচ্ছি? কথা বলতে বলতে চেরাংঘর এলাকায় পৌঁছলে দুই যুবক আমাকে টমটম থেকে নামিয়ে পার্শ্ববর্তী ব্রিজে নিয়ে যায়। তারা আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। আমি রাজি হইনি। আমি তাদের ‘মায়ের পেটের ভাই’, ‘আমার বড় ভাই’ ইত্যাদি ডেকে ছাড় পেতে চেষ্টা করি। অনেক আকুতি করেছি। কিন্তু তারা আমাকে ছাড়েনি। তাদের পায়ে ধরার পরও রক্ষা হয়নি আমার সতিত্ব।
ওই মহিলা আরো জানায়, ঘটনার সময় আমি চিৎকার করলে তারা আমার মুখ ও গলা চেপে ধরে। প্রথমে সেলিম উদ্দিন আমাকে ধর্ষণ করে। পরে নুরুল ইসলাম নামের আরেক যুবক ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ৩টার সময় আমাকে ছেড়ে দেয় তারা।
সকালে বাড়ীতে গিয়ে আমার পিতাকে ঘটনার বর্ণনা দিই। এরপর আমার পিতাসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির আহমদকে ঘটনার বিস্তারিত জানাই। ধর্ষকদের নাম শুনার পর তিনি বিচার করেননি। আমাকে থানায় যেতে পরামর্শ দেন ইউপি সদস্য।
টমটম চালকের (নাম জানা যায়নি) কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুইজন যুবক আমার টমটমের যাত্রী ছিল। আমার চোখের সামনে যুবতিকে নামিয়ে নিয়ে যায়। সেলিম নামে একজনকে চিনেছি।
ঘটনার প্রসঙ্গে উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি, ঘটনাটি সত্য। ঘটনায় জড়িতদের তথ্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এজাহার হাতে পেয়েছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।