প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আগামি ১২ জানুয়ারী ঢাকা মতিঝিলস্থ টিএন্ডটি স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে রামু উৎসব ২০১৮। এতে কক্সবাজার তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি ঢাকায় অবস্থানরত রামু বাসীরা স্ববান্ধব-স্বজন সহ উপস্থিত থাকবেন। উৎসবে রামুর কৃষ্টি-সংস্কৃতি, খাদ্য ও স্থাপত্যশিল্প নিয়ে নানা আয়োজন রাখা হবে। নগরজীবনের ব্যস্ততা ভুলে নীড়ের টানে ক্ষণিকের জন্য আনন্দ-মাত্রা সঞ্চার করবে প্রাণোচ্ছল এ আয়োজন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মতিঝিলস্থ টিএন্ডটি স্কুলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় উৎসবের আয়োজক রামু সমিতির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় রামু সমিতির উপদেষ্টা পরিষদ, ট্রাস্টি বোর্ড ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রামু সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মার পরিচালনায় এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা সদস্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মাফরুহা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ, সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার জান্নাতুল কাউনাইন, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক আব্দুল মোমেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার মিজান সাইদ, রামু সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
মতবিনিময় সভার শুরুতে রামু উৎসব নিয়ে কর্ম-পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনার একটি খসড়া প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রচার,প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম। প্রস্তাবনায় রামু উৎসবের মোড়ক উন্মোচন, দিনব্যপী অনুষ্ঠানসমূহ, বাজেট, প্রকাশনা, স্পন্সর পলিসি, বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। প্রায় দুহাজার উপস্থিতির এ আয়োজনে রামুর ঐতিহ্যবাহী মেজবানের পাশাপাশি, পিঠা উৎসব, শিশুদের বিনোদন ও আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সভায় সব বক্তায় অসাম্প্রদায়িক রামুর শান্তির বাণী রামু উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। উপদেষ্টা সদস্য মাফরুহা সুলতানা বলেন, রামু সমিতি গত এক বছর ধরে বিভিন্ন গঠনমুলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকায় পুরো কক্সবাজারকেই প্রতিনিধিত্ব করছে। তিনি রামু উৎসব আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ রামু উৎসব সফল করার জন্য উপদলে বিভক্ত হয়ে কাজ করার উপর জোর দেন। সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান ও ব্যারিস্টার মিজান সাইদ বর্তমানের রোহিঙ্গা সংকটে কক্সবাজারবাসীর মধ্যে যে ঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে তা থেকে উত্তরণের উপায় বের করার জন্য একটি গোল টেবল বৈঠক আয়োজনের জন্য আহবান জানান। কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ সফল আয়োজনের জন্য অর্থ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
মতিঝিল টিএন্ডটি কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত শুক্রবারের মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামু সমিতির সহ সভাপতি সাইমুল আলম চৌধুরী, সাংগাঠনিক সম্পাদক সবুজ বড়ুয়া, বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া প্রমুখ।
পরে, উপস্থিত সবাই নৈশভোজে মিলিত হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।