ডেস্ক নিউজ:
রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যাসহ জাতিগত নিধনের জন্য অভিযুক্ত মায়ানমারের সেনাদের গত কয়েক মাস ধরে ইসরাইল অস্ত্র সরবরবাহ করে আসছে।

এ কথা ফাঁস করে দেয়ায় তেলআবিবে নিযুক্ত মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ম্যাং ম্যাং লিনকে তলব করেছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতির বরাতে এ খবর জানিয়েছে রাশিয়ার আরবি সংবাদ চ্যানেল রুসিয়া আল-ইয়াওম।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার তেলআবিবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক উপ মহাপরিচালক গিলাড কোহেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ম্যাং ম্যাং লিন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মায়ানমাররকে ইসরাইলের অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে তা প্রত্যাহার করে নেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

ইসরাইল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তেলআবিব মায়ানমারের কাছে কোনো ধরনের অস্ত্র বিক্রি করেনি।

এনিয়ে গত এক মাসে দ্বিতীয়বার মায়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির কথা অস্বীকার করল ইসরাইল।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার লক্ষ্যে তেলআবিব সফরে যান মায়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইন। ওই সময় ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রুভেন রিভলিনের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। এরমধ্যেই তেলআবিব মায়ানমারে অস্ত্রের চালান পাঠিয়েছে বলে বিভিন্ন ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যমে খবর বের হয়।

এ অবস্থায় অস্ত্র সরবরাহের খবর অস্বীকার করে ইসরাইল। কিন্তু মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত ম্যাং ম্যাং লিন অস্ত্র সরবরাহের খবর নিশ্চিত করলে ইসরাইলের অস্বীকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।