মানবতার মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)’র পৃথিবীতে আগমন – এমপি কমল

খালেদ হোসেন টাপু, রামু :

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আঞ্জুমানে নকশবন্দীয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং রামু উপজেলা পরিষদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় শনিবার ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন উপলক্ষে এক আজিমুশ শান জশনে জুলুস রাজারকুল মাসুমিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দীর সদারতে ও রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলমের সভাপতিত্বে রামুতে অনুষ্ঠিত হয়।

এই উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বিশাল জশনে জুলুস বের হয়ে রামুর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রামু উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে মিলিত হয়।

আঞ্জুমানে নকশবন্দীয়া মুজাদ্দেদীয়া বাংলাদেশ রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু বক্কর ছিদ্দিকী ও আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জুলুস পূর্ববর্তী আলোচনা ও র‌্যালিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু কক্সবাজারের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি বলেন, মানবতার মুক্তির জন্য রাসুলে পাক (দ.) এর আগমন হয়েছে। মদিনা সনদ প্রণয়নের পাশাপাশি সমগ্র বিপন্ন মানবতার মুক্তির জন্য তিনি কাজ করেছেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণ আমাদের জন্য অতীব জরুরী। তাছাড়া তিনি আগামীতে রামুতে দেশের সর্ববৃহৎ জুলুস আয়োজন করার ঘোষণা দেন। উক্ত জুলুসে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কক্সবাজার জেলা শাখার সচিব ও আঞ্জুমানে নকশবন্দীয়া মুজাদ্দেদিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখার আহ্বায়ক হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দী। তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। কারণ রাসুল (সা.) যদি দুনিয়াতে না আসতেন আমরা আজ এত সুন্দর পৃথিবী পেতাম না। তার আগমনের কারণেই পুরো সৃষ্টি জগত আজ ধন্য। তাই তাঁর স্মরণ করার জন্য এবং তাঁর আগমনকে উপলক্ষ করে আনন্দ করার জন্য আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন কুরআনেই ঘোষনা দিয়েছেন। তাই এরই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রত্যেক বৎসর জশনে জুলুস ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করে থাকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোছেন কোম্পানী, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক কোম্পানী, রামু থানার ওসি তদন্ত এসএম মিজানুর রহমান, গর্জনিয়া চেয়ারম্যান ছৈয়দ নজরুল ইসলাম, জোয়ারিয়ানালা চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স, রাজারকুল চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়ালে জামাতের কেন্দ্রীয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট জননেতা সোলায়মান ফরিদ, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, গহিরা এফ কে জামেউল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যাপক কাজী ইউনুচ রেজভী, রামু প্রেস ক্লাব কর্মকর্তা সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু প্রমুখ।

এতে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি আবদুর রশিদ হক্কানী, মাওলানা রেজাউল করিম রেজভী, মাওলানা মমতাজুল হক, ইসলামিক ফাউ-েশনের সুপারভাইজার সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট আজিজ, মাষ্টার সালামত উল্লাহ, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা আইয়ুব, মাওলানা সালেহ আহমদ, মাওলানা তারেকুল ইসলাম, মাওলানা রমিজ, মাওলানা মিজান উল্লাহ, মাওলানা নজিবুল আলম, মাওলানা মমতাজুল হক নুরী, মাওলানা খাজা বাকী বিল্লাহ, মাওলানা আবদুছ ছালাম নকশবন্দী, মাওলানা আবদুল গফুর, মাওলানা নুরুল আলম ফারুকী, মাওলানা নুরুল হাকিম, মাওলানা মোজাম্মেল, মাওলানা কাদের, মাওলানা কাশেম নকশবন্দী, আজিজুল ইসলাম, এস এম ছফি উল্লাহ মুনির, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোছাইন, এহছান, মাহবুবুল আলম, হাফেজ ছফিউল্লাহ মনির প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে রামু উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, যারা এই মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বারবার যাতে এই মিলাদুন্নবী আরো ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয় তার জন্য আমার পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। মিলাদ ক্বিয়ামের পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনার পাশাপাশি সকল উপস্থিতির জন্য কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি সৈয়্যদ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দী।

বক্তারা বলেন, নবীর আদর্শে জীবন গড়তে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এবং নবীপ্রেমই মানব মুক্তির একমাত্র মূলমন্ত্র। নবীপ্রেমিক ছাড়া কেউ জান্নাতবাসী হবে না।