অলি উল্লাহ রনি, চকরিয়া:
চকরিয়া পৌরসভার একটি ক্রমবর্ধিঞ্চু উপশহরের নাম চিরিঙ্গা। দিন যতই যাচ্ছে জনকোলাহল ও ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে এখানে। দিনবদলের পরিক্রমায় এখানে গড়ে উঠেছে বহুতল শপিংমলসহ বহুমুখী বাণিজ্যিক ও নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কারণে সরকার ১৯৯৪ সালে চকরিয়াকে পৌরসভায় উন্নীত করে। প্রতিষ্ঠার ২০ বছর অতিক্রান্ত হলেও প্রত্যাশিত উন্নয়ন ও জনগনের সেবার মান সুনিশ্চিত করতে এই পৌরসভা ব্যর্থতার বিষকলা পূর্ণ করেছে। যত্রতত্র রিকশা ও মোটরযান পার্কিং এবং ভাসমান হকারদের কারণে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকায় সওজ কর্তৃক মুল সড়ককে ভাগ করা হয় তিন ভাগে। দুপাশে দুটি ওয়ানওয়ে রোড নির্মাণ করা হয়। উদ্দেশ্য এ উপশহর থেকে যানজট দুর করা। কিন্তু পৌর প্রশাসনের সুবিধাভোগী কিছু কর্মচারী মাসোহারার বিনিময়ে অবৈধ সুবিধা দেয়ায় ওয়ানওয়ে সড়ক দুটি বর্তমানে ভাসমান হকার, রিকশা, সিএনজি, চাঁদেরগাড়ী, টমটম’র দখলে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সুনিদিষ্ট টার্মিনাল থাকা সত্বেও ফুলকলির সামনে মানিকপুরগামী সিএনজি, টমটম, শটবডি গাড়ি পার্কিং করতে দেখা গেছে। চকরিয়া শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বরইতলীগামী সিএনসি ও প্রাইভেট মাইক্রোবাস, পুরাতন এসআলম কাউন্টারের সামনে দূরপাল্লার যানবাহন, ট্রাক, পিকআপ, বাস, মাইক্রোবাস এবং চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বদরখালীগামী চাঁদেরগাড়ী ও সিএনজি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তাছাড়া রাস্তার উভয় পার্শ্বে ভাসমান হকার বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে। ফলে স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী অফিসগামী লোক, হাসপাতালগামী রোগীসহ সর্বসাধারণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।