পোপ ফ্রান্সিস (ফাইল ছবি)সম্প্রীতি ও শান্তির বাণী নিয়ে তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন পোপ ফ্রান্সিস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপের আমন্ত্রণে তিনি বৃহস্পতিবার ঢাকা সফরে আসছেন।

মানবজীবন, মানবতাবোধ ও মানবাধিকার, দরিদ্র, শিশু ও নারীদের প্রতি গুরুত্ব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক ও সংলাপ, ন্যায্যতা ও শান্তি, ধর্মীয় মূল্যবোধ বিষয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সামনে যে চ্যালেঞ্জ, সেগুলো নিয়ে সংলাপ হবে তার সফরে।

সফরসূচি

আজ বিকাল তিনটায় তিনি মিয়ানমার থেকে ঢাকা পৌঁছাবেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তাকে অভ্যর্থনা জানানোর কথা রয়েছে। এরপর তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।

রাতে তার সম্মানে দেওয়া রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে একান্ত আলোচনা করবেন।

শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলিত হবেন। এসময় তিনি বক্তব্য দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভ্যাটিকান দূতাবাসে বিকালে সাক্ষাতের পর আর্চবিশপ হাউসে তিনি আন্তঃধর্মীয় নেতা ও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মাদার তেরেসা হাউস সফরসহ খ্রিস্টধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বিকালে যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে নটর ডেম কলেজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

যেভাবে এই সফর

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে কার্ডিনাল ফেরনান্ডো যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, তখন পোপকে কার্ডিনালের মাধ্যমে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ক্যাথলিক বিশপ আনুষ্ঠানিকভাবে পোপকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানালে গত বছরের শেষদিকে তিনি আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তার ঢাকা সফরের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।

এর আগের পোপের সফর

পোপ ফ্রান্সিসের আগে ১৯৮৬ সালে পোপ জন পল এবং তার আগে ১৯৭০ সালের ২৭ নভেম্বর পোপ ষষ্ঠ পল ঢাকা সফর করেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পোপ পলের দু’জন প্রতিনিধি ঢাকায় এসে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেন। এরপর ১৯৭৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ভ্যাটিকানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।