ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:

পেকুয়ায় থানায় জমি সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দেওয়ায় বাদিকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে বিবাদী পক্ষের লোকজন। জমি বিরোধের জের ধরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মগনামা ইউনিয়নের নুন্যারপাড়া এলাকার আহমদ কবিরের পুত্র উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মকছুদ মিয়াকে মারধর করে আহত করা হয়। তিনি বর্তমানে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮নভেম্বর) সন্ধায় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজি মার্কেট ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। একই রাতেই হামলার জের ধরে ষ্টেশনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করা হয়। ভাংচুর করা হয় দোকানপাট।

এদিকে বুধবার (২৯নভেম্বর) উত্তেজিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থানার পুলিশ ও ইউপি কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একদল চৌকিদারকে ষ্টেশনে পাহারায় রাখা হয়।

আহত মুকসুদ আলম জানান, বিগত ৩দিন আগে আমি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আবদুল নবীসহ ১০জনকে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে কাজি মার্কেট ষ্টেশনে গেলে অভিযোগের বিবাদী মনতু বেগমের পুত্র মনছুর আলমের নেতৃত্বে হেলাল, আবদুল নবী, সরওয়ার, হোছনসহ আরো কয়েকজন মিলে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। একপর্যায়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করলে ব্যাপক ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে তারা। রাতেই স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

বাজার সমিতির এক নেতা জানান, মকছুদকে মারধর করার পর ঘটনাটি দু’পক্ষে সংঘর্ষের রূপধারণ করে। একপর্যায়ে একপক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় আমরা দোকান বন্ধ করে দিই। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে ধাওয়া দেয় এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম বলেন, মকছুদ মিয়ার সাথে আবদুল নবীসহ আরো কয়েকজনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়। লিখিত অভিযোগ নিয়ে বাদি বিবাদীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষ আবারো সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেওয়ায় ষ্টেশনের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় পুলিশি টহলে করেছে পেকুয়া থানা। সেইসাথে কাজি মার্কেটে গ্রামপুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।