এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন্থ ষ্টোর ষ্টেশন সংলগ্ন অনুশীলন একাডেমী লাগোয়া মোহাম্দ শাহিন নামের এক ব্যাক্তি কয়েক মাস ধরে বহু গ্যাস কোম্পানি লাইন্সেসবিহীন খোলাবাজারে যত্রতত্র দোকানে এলপি সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও পাশ্বোক্ত বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে বলে দাবী করেছেন এলাকার সচেতন মহল।যত্রতত্র গ্যাস ক্রসফিলিং করে বিক্রি করার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এ নিয়ে বিন হাবিব বি.ডি লিমিটেডের চট্রগ্রামের সিনিয়র সেলস অফিসার মো.শাহাদাত হোছন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও সুনির্দিষ্ট কোম্পানি ডিলারদের অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ জনপদে কিছু অবৈধ ও অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসন ও গ্যাস কোম্পানির চোখের আড়ালে যত্রতত্র গ্যাসের দোকান বসিয়ে সাধারণ মানুষকে এলপি সিলিন্ডার গ্যাস বিকিকিনি করে তাদের সাথে প্রতারণ করে যাচ্ছে।এ নিয়ে কোম্পানি নিয়োগকৃত ডিলাররা স্ব স্ব কোম্পানি কাছে অভিযোগ করেন মাঠ পর্যায়ে অবৈধ গ্যাসের দোকান চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।ডিলারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৯নভেম্বর বুধবার সকালে ওই অবৈধ গ্যাসের দোকানে সরেজমিন পরিদর্শনে যান চারটি গ্যাস কোম্পানি সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল।যে সব কোম্পানি প্রতিনিধিরা মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করেন তারা হলেন,টোটাল গ্যাসের চট্রগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো.মুরাদ আলম,বিএম এলপি গ্যাসের কক্সবাজারের মার্কেটিং অফিসার আবদুল কাদের,বিন হাবিব এলপি গ্যাসের কক্সবাজারের মার্কেটিং অফিসার শাহাদাত হোসেন,ওমেরা এলপি গ্যাসের কক্সবাজারের টেরিটরি অফিসার মো.মেহেদী হাসান ও মো.সাইফুদ্দীন।কোম্পানি নিয়োগকৃত মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিধিদল সদস্যরা প্রথমে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের অনুশীলন একাডেমী লাগোয়া মো.হানিফের গ্যাসের দোকানে গেলে দোকানের মালিক হানিফসহ অাশ-পাশের লোকজন ডেকে নিয়ে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক ও কতুক্তি ভাবে তর্কে জড়িয়ে যান।হানিফের দোকানে প্রায় পাঁচটি কোম্পানী অনুমোদন ও লাইসেন্সবিহীন অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির সত্যতা পান কোম্পানী প্রতিনিধিরা।ওই গ্যাসের দোকানে অগ্নিনির্বারক বা অক্সিজেন ছাড়া লাইন্সেসবিহীন অবৈধভাবে হরদম বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস।সরেজমিনে দেখা মেলে ওই গ্যাসের দোকানে লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন কোম্পানির এলপি সিলিন্ডার বাজার থেকে সরবরাহ করে তাতে তরল পদার্থ মিশিয়ে এবং কম গ্যাস ভরে বাজারজাত করে আসছে এ অসাধু গ্যাস ব্যবসায়ী বলে সুত্রে জানায়।

এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে  বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে পরবর্তীতে চিহ্নিত করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।