ডেস্ক নিউজ:
নারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘নারীরা ভোট জালিয়াতি করেন না। এটা পুরুষদের কাজ। পুরুষদের জালিয়াতি ও অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকতে দেখা যায়। বাংলাদেশে ৩১ বছর ধরে একটানা নারীরাই ক্ষমতায় রয়েছেন। আজ প্রমাণিত হয়েছে, নারীরা যেমন ঘরও গোছাতে পারেন, তেমনি রাজনীতিও গোছাতে পারেন।’ মঙ্গলবার
রাজধানীর একটি হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি’ বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদে প্রথবারের মতো নারী হিসেবে বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা রাখেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১৯৯১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে প্রথমবারের মতো নারী প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর থেকেই নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েই চলছে। বর্তমানে সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, বিরোধী দলের নেতা সবাই নারী। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সব স্থানীয় সরকারেও নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। কাজেই রাজনীতিতে নারীদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে।’

প্রশাসনে নারীর ক্ষমতায়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ১০ জন নারী সচিব রয়েছে। এছাড়া ১ জন বিভাগীয় কমিশনার, ৬ জেলা প্রশাসক, ১৬ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নারীরা কর্মরত আছেন।’

নির্বাচনে নারী মনোনয়নের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভূমিকা প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমাদের আইনে সব রাজনৈতিক দলের সব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার বিধান আছে। কিন্তু নির্বাচনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে এরকম কোনও বিধান নেই। কাজেই সংসদ নির্বাচনে নারীদের অধিক হারে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর ইসির হস্তক্ষেপে কোনও সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি যখন আমরা সংলাপে অংশ নেই, তখন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ ইসলামী দলগুলো কোনও নারী প্রতিনিধি নিয়ে আসেননি। তবে কয়েকটি দল নারী প্রতিনিধি নিয়ে সংলাপে অংশ নিয়েছিল। অবশ্য আমরা নারী নেত্রীদের সঙ্গে সংলাপ করেছি। তারা রাজনীতিতে নারী অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা নিতে বলেছেন।’