আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের অনুসারীদের মাঝে ‘বৈচিত্র্যতায় ঐক্যের’ ডাক দিয়েছেন খ্রিস্টান ধর্মের রোমান ক্যাথলিক শাখার প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারের ক্যাথলিক আর্চ বিশপের বাসভবনে ৪০ মিনিটের এক আন্তঃধর্মীয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর নেতারা অংশ নেন।

বৈঠক শেষে রাজধানী নেইপিদোর উদ্দেশ্যে ইয়াঙ্গুন ত্যাগ করেছেন তিনি। সেখানে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পোপ।

ইয়াঙ্গুনের ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা মুসলিমবিরোধী জাতিগত বিদ্বেষের উসকানি দাতা এক বৌদ্ধ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পোপ ফ্রান্সিস। রোহিঙ্গা সঙ্কটের মাঝে চারদিনের সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার বিতর্কিত ওই বৌদ্ধ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের মুখপাত্র গ্রেগ বার্ক বলেন, ইয়াঙ্গুনে মিয়ানমারের ক্যাথলিক আর্চ বিশপের বাসভবনে আন্তঃধর্মীয় বৈঠকের ফাঁকে বৌদ্ধ নেতা সিতাগু সায়াদ’র সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎ করেছেন পোপ।

গ্রেগ বার্ক বলেন, তাদের এই সাক্ষাৎ ছিল ‘শান্তি ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সহাবস্থানকে উত্সাহিত করার একটি প্রচেষ্টার কৌশল মাত্র।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমবিরোধী উত্তেজনা উসকে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ আছে এই বৌদ্ধ নেতার বিরুদ্ধে। দেশটিতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নেই। এছাড়া রাখাইনে সাম্প্রতিক ব্যাপক সমালোচিত সেনা অভিযানের লক্ষ্য করা হয়েছে তাদের।

ভ্যাটিকান বলছে, মিয়ানমারের বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি নেতাদের সঙ্গে ৪০ মিনিটের বৈঠকে ‘বৈচিত্র্যতায় ঐক্যের’ ডাক দিয়েছেন পোপ।

গ্রেগ বার্ক বলেন, স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের পোপ বলেছেন, দেশকে পুনর্গঠনে তাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। পোপ বলেছেন, তারা যদি তর্ক-বিতর্ক করেন তাহলে ভাইদের মতো তর্ক করা উচিত; যারা পরে বিবাদ মিটমাট করে।