মোঃ গোলাম মোস্তফা ( দুঃখু ) :
মানুষ বাঁচতে চায় সবসময়, জীবনের সকল কষ্ট গুলো কে সাথে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে চায় মানুষ। বর্তমানে বিশ্বের মাঝে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে মানুষকে ঘিরে, মানবিক গুণাবলীর মাধ্যমে মানুষকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বলে অাখ্যায়িত করা হয়েছে। পাহাড় তার প্রাণ পেয়ে থাকে সবুজের মাঝে, আজ পাহাড়ের প্রাণ নেই, শুধু আছে বিশাল বড় বালুর মাঠ, আর পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। গত আগষ্ট মাসের শেষ দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনী সদস্য দ্বারা বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে অসংখ্যক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ।
পরিবেশ এখন বিপর্যয়গ্রস্ত, চারদিকে গাছ আর পাহাড় কাটার মেলা বসেছে। কারো কোন কিছু বলার নেই, বাংলাদেশের সরকার বলছে মানবিকের কারনে তাদের কে আশ্রয় দিয়েছি। স্থায়ি লোকজন বলছে রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে আমাদের ফসলের জমি এখন রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা, সামনে আমরা কি করে চলবো জানি না। উখিয়া স্থানীয় যারা তারা সকলে কৃষির চাষবাস করে চলে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় বলছে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর চাপে কক্সবাজার এলাকায় পরিবেশের বিপর্যয়গ্রস্তহয়ে পরেছে। এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের কারণে ১৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বনজ সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন ব্যবসা এখন হারিয়ে যেতেবসেছে। সাধারন মানুষ এখন কক্সবাজার বাজার যেতে চায়না, তারা মনে করে রোহিঙ্গা আসার কারনে সমুদ্র সৈকত এখন নিরাপদ নয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কারনে পাহাড় জলাশয়, সমুদ্র সৈকত, জমির ফসলসহ অন্যন্য খাতেরও ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া টেকনাফ অধীনে প্রায় ১০ হাজার একর বনভূমিতে রোহিঙ্গা বসতি গড়েতুলেছে। রাস্তার চারপাশে ঘর তুলেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী , স্থানীয় একব্যক্তি জানান রোহিঙ্গারা আসার আগে প্রায় হাতি দেখা যেত, এখন আর হাতি দেখা যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা জালাল বলেন রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, এখন সরকারের মানবিকতার কারণে আমরা হারালাম আমাদের প্রিয় সবুজ বন, প্রাকৃতিক সুন্দর, যা কখনো সরকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না ।

লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম।