“তোমারে পাইলাম না আমি তাতে দুঃখ নাই
আমি যে তোমার হইয়াছি এই ভেবে সুখ পাই”
“আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি, কেনো চাইলে আমারে, এত ভাল হয় কি মানুষ নিজের ক্ষতি করে”

॥ মো: আকতার হোছাইন কুতুবী ॥

“তোমারে পাইলাম না আমি তাতে দুঃখ নাই, আমি যে তোমার হইয়াছি এই ভেবে সুখ পাই”,“আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি, কেনো চাইলে আমারে, এত ভাল হয় কি মানুষ নিজের ক্ষতি করে”, “সোয়া চাঁন পাখি আমার-সোয়ান চাঁন পাখি, আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি”, এরকম শত শত হৃদয়ের গভীরে নাড়া দেয়ার মতো লোকগান ও মরমী ধারার গান পরিবেশন করে বারী সিদ্দিকী সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষাভাষীদের মন জয় করে আলোকিত একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। বারী সিদ্দিকী আজ লোকচক্ষুর অন্তরালে। এটাই বিধাতার নির্ধারিত নিয়ম। পৃথিবীতে কেউ সারাটি জীবন বেঁচে থাকে না। ক্ষণস্থায়ী এই দুনিয়া থেকে সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ মারা গেলেও তার প্রতিভা, মেধা ও রেখে যাওয়া স্মৃতি তাকে মরতে দেয় না। তেমনি একজন মানুষ বারী সিদ্দিকী। তার মতো আধ্যাত্মিক, মরমী গায়ক সঙ্গীতপিপাসুদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।
আসলে শুরু কিভাবে করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তাই শুরুটা এভাবেই করলাম। আমার স্বল্প বুদ্ধিতে তাঁর মতো একজন বিখ্যাত গায়ককে নিয়ে লেখার দুঃসাহসটা এই পোড়া মনের গভীর থেকে চলে এসেছে। তাই সাহস করে তাঁর গান ও আনুষাঙ্গিক জীবনকে ভালবেসে লিখে ফেললাম। চলার পথে কোন এক সময় তাঁর সাথে হঠাৎ পরিচয় হয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। সে সুবাদে তাঁর সান্নিধ্যে গিয়ে নিজেই অবলোকন করতে পেরেছি তাঁর মতো সাদামাটা সহজ-সরল মানুষের সংখ্যা খুব একটা বেশি হয় না এই পৃথিবী নামক নরকে। আবার এরকম বৃহৎ হৃদয়ের মানুষরা দুনিয়াতে বেশিদিন বেঁচে থাকে না। বিধাতা ওই আকাশের তারা করে তাদেরকে নিয়ে যায়। কারণ এই পৃথিবীটাকে আলোয় আলোকিত করতে আকাশের ঝলমল তারার প্রয়োজনটা বেড়ে যায়! তাই আমার মন বলে মহান সৃষ্টিকর্তা সাদা মনের ভালো মানুষদের দুনিয়াতে বেশিদিন হায়াত দিয়ে এই দুনিয়াতে পাঠান না। তাই তাদের হঠাৎ করে তার কাছে নিয়ে যান।
আমি শ্রদ্ধেয় বারী সিদ্দিকীকে গুরু বলে সম্বোধন করতাম। মনে রাখার মতো ও চোখের জলে বুক ভাসিয়ে ফেলার মতো অনেক স্মৃতি তাঁর সাথে আমার আছে, যেগুলো বর্ণনা করে নিজেকে জাহির করতে চাই না। এরপরও একটা স্মৃতি আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। বছর পাঁচেক আগে টিভি চ্যানেলে লাইভ একটি অনুষ্ঠানে বারী সিদ্দিকী “সোয়া চাঁন পাখি আমার, সোয়া চাঁন পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি” এই গানটা এতো সুন্দর করে মনের ভেতর থেকে পরিবেশন করছিলেন, যেটা আমি আমার ভাষায় লিখতে পারবো না। তখন অনেকবার চেষ্টার মধ্য দিয়ে ফোন করে তার সাথে গানের ব্যাপারে আমার অনুভূতি প্রকাশ করলাম। সঙ্গীত আমার ভালো লাগে শৈশবকাল থেকে। তাই গুরুকে বললাম আপনি যদি বেয়াদবি মনে না করেন সোয়া চাঁন পাখির কয়েকটি লাইন আমি গায়ব বৃহৎ হৃদয়ের গুণী শিল্পী হাঁসতে হাঁসতে আমাকে বললেন, তুমি গাও, আমিও শুনবো। সাহস করে কয়েকটি লাইন গেয়ে ফেললাম। আমার প্রিয় গুরু আমাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, তুমি আমার হৃদয়ের ভেতরটাকে নাড়া দিয়ে ফেললে। যাক, আমাদের সবাইকে চোখের জলে ভাসিয়ে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন গত ২৩শে নভেম্বর দিবাগত রাত দুইটায় মরমী শিল্পী বারী সিদ্দিকী।
তাঁর ৬৩ বছরের জীবদ্দশায় অনেক ইতিহাস তিনি সৃষ্টি করে গেছেন। ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায় তাঁর জন্ম। বাবা প্রয়াত মহরম আলী ও মা প্রয়াত জহুর-উন-নিসা। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে বারী সিদ্দিকীই ছিলেন সবার ছোট। ছোটবেলায় বয়স যখন তিন কিংবা চার হবে সেই বয়সেই মা’র কাছে তার প্রথম শুনা গান ছিলো ‘শ্বাশুড়িরেও কইয়ো গিয়া’। সেই গানের সুরই বারী’র মনে গেঁথে যায় ছোটবেলায়। যদিও তার পরিবার গানের পরিবার ছিলো না। কিন্তু সৌখিন গানের পরিবার ছিলো তার। বারীর নানা শেখ সাবির “সরদ” বাজাতেন। আর তার নানীর কাছ থেকেই মা গান শিখেছিলেন টুকটাক।
বারীর বয়স যখন পাঁচ তখন বড় ভাইয়ের বাঁশিতে ফু দেয়া তার মধ্যে অন্যরকম আগ্রহের সৃষ্টি করে বাঁশি শেখার প্রতি। বারীর নানারা দুই ভাই ছিলেন। তার নানার একটা সঙ্গীতের দল ছিল। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে প-িত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সাথে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।
কোন এক সময় একান্তে সঙ্গীত গুরু বারী সিদ্দিকী আলাপকালে বর্ণনা করেছিলেন, তাঁর বাবা গানের সাথে জড়িত না থাকলেও গান বাজনা তার পছন্দের ছিলো। বারী তার বাঁশি শেখা এবং গান শেখার দুটোরই উৎসাহ পেয়েছেন তার মায়ের কাছ থেকে। বারী ছোটবেলায় বাঁশি বাজাতেন মূলত বড় ভাইদের নকল করে। তখন পদ্ধতিগতভাবে নেত্রকোণায় বাঁশি শেখার উপায় ছিলো না। তাই মাত্র সাত আট বছর বয়সেই মা জহুর-উন-নিসার কাছে গান শেখা শুরু করেন। মার কাছ থেকে জীবনে তিনি প্রথম যে গানটির সুর বাঁশিতে তুলে নিয়েছিলেন সেই সুরটিই তিনি পরবর্তীতে হুমায়ূন আহমেদ’র ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করেছিলেন। সেটি ছিলো শ্যাম বিচ্ছেদের একটি সুর। কলিটা ছিলো এরকম ‘আস্ট আঙুল বাঁশের বাঁশি/মধ্যে মধ্যে ছ্যাদা/ নাম ধরিয়া ডাকে বাঁশি/ কলংকিনী রাধা/।
বিখ্যাত মরমী শিল্পী বারী সিদ্দিকী যখন হাইস্কুলে পড়তেন তখন থেকেই তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পদ্ধতিগতভাবে সঙ্গীত শেখা শুরু করেন নিজ এলাকায়। তার সঙ্গীতের ওস্তাদ ছিলেন শ্রী গোপাল দত্ত। সে সময় বড় দুই ভাই এবং রফিক মাহমুদ, বিপুল চৌধুরী, দুলাল দত্তনবীশ, হযরত আলীর কাছ থেকেও গানে সহযোগিতা পেয়েছেন। ছোটবেলায় মূলত সঙ্গীতশিল্পী হবারই স্বপ্ন ছিলো বারী সিদ্দিকীর। তাঁর মা তাকে উচাঙ্গ সঙ্গীত শিখে তা বাঁশিতে ট্রান্সফর্ম করতে বলতেন।

পরবর্তীতে ১৯৮০ সালের দিকে ঢাকায় শুদ্ধ সঙ্গীত প্রসারের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ওস্তাদ আমিনুর রহমানের কাছে। তিনি বিমানের পাইলট ছিলেন। ভারত বর্ষের বিখ্যাত বংশীবাদক ওস্তাদ পান্না লাল ঘোষের শিষ্য ছিলেন। সেই আমিনুর রহমানের বাড়িতে থেকেই বাঁশিতে তালিম নিতে থাকেন দিনের পর দিন। সেখানে থেকেই তিনি ওস্তাদ তাগাল ব্রাদার্স, প-িত দেবেন্দ্র মুৎসুদ্দী, ওস্তাদ আয়েফ আলী খান মিনকারীর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন বারী সিদ্দিকী।
প-িত বিজি কারনাডের কাছেও বাঁশি শিখতে তিনি পুনাতে গিয়েছিলেন। এভাবে একসময় বারী শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বাংলাদেশ রেডিও টেলিভিশন’সহ সম্মিলিত একটি যন্ত্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। এর পরপরই তিনি দক্ষিণ এশীয় সার্ক ফেস্টিভ্যালে যান বাঁশি বাজাতে সরকারী সহযোগিতায়।
এরপর ধীরে ধীরে তিনি আরো পরিচিত হয়ে উঠতে লাগলেন। বাঁশি বাজান উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে। প্রখ্যাত লেখক ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ’র জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তার বাসায় যান বাঁশি বাজাতে। সেখানে বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি গানও করেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদ তাকে আরো গান গাইতে বলেন অনুষ্ঠানে। গান শুনে মুগ্ধ হন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯৫ সালে বিটিভির ‘রং-এর বারৈ’ অনুষ্ঠানে প্রথম গান করেন বারী সিদ্দিকী। এর পরপরই হুমায়ূন আহমেদ তাকে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ চলচ্চিত্রে গান গাইতে বলেন।
চলচ্চিত্রের গানে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পাবার পরপরই বাজারে তার দুটি একক অ্যালবাম আসে। একটি ‘দুঃখ রইলো মনে’ এবং অন্যটি ‘অপরাধী হইলেও আমি তোর’। দুটি অ্যালবামই লুফে নেয় শ্রোতারা। সেই সময় ৮০/৯০ বছর পর উকিল মুন্সীর লেখা গান মানুষের মনে দোলা দিতে পেরে বারী সিদ্দিকী ছিলেন দারুণ উচ্ছ্বসিত। বারী সিদ্দিকী সবসময়ই নিজেকে একজন বংশীবাদক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
একজন বংশীবাদক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি বাঁশি বাজিয়েই শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। ১৯৯৯ সালে ফ্রান্সে ওয়ার্ল্ড ফ্লুট সম্মেলনে এই উপমহাদেশ থেকে তিনিই প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এটা ছিলো বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট অর্জন। একজন গায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবার আগে বারী সিদ্দিকী একজন বংশীবাদক হিসেবে বাঁশি বাজিয়েছেন দু’দশক ধরে। কিন্তু গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার পর দেশের বাইরে বংশীবাদক হিসেবে তার সফর কমে যায়। কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। বারী সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালে ফরিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন ।
১৯৮০ সালে বারী সিদ্দিকী পেশাগতভাবে বাঁশি বাজানো শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে প্রথম বিটিভিতে ‘সৃজন’ অনুষ্ঠানে বাঁশি বাজান। বারী সিদ্দিকী ‘মাটির পিঞ্জিরা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ফেরারি অমিতের নির্দেশনায় ‘পাগলা ঘোড়া’ নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। তবে অভিনয় করতেন নিতান্তই অনুরোধে এবং শখের বশে।
প্রখ্যাত গায়ক বারী সিদ্দিকীর বিখ্যাত গানের মধ্যে- ‘তোমারে পাইলাম না আমি তাতে দুঃখ নাই’, ‘আমার মন্দ স্বভাব জেনেও তুমি কেনো চাইলে আমারে, এতো ভালো হয় কি মানুষ নিজের ক্ষতি করে’, সোয়া চান পাখি, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘সাড়ে তিন হাত কবর’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘তুমি থাকো কারাগারে’, ‘রজনী… অবসান আজ নিশীথে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো- এই ধরনের হৃদয়ে কম্পন সৃষ্টি করার মতো গান পরিবেশন করে পরিচিতি যেমন পেয়েছেন তেমনি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন অনেক বেশি।
তাঁর প্রকাশিত হৃদয়ছুঁয়ে যাওয়া অ্যালবামগুলো হলো : একক অ্যালবাম- দুঃখ রইলো মনে, অপরাধী হইলেও আমি তোর, সরলা, ভাবের দেশে চলো, সাদা রুমাল, মাটির মালিকানা, মাটির দেহ, মনে বড় জ্বালা, প্রেমের উৎসব, ভালোবাসার বসত বাড়ি, নিলুয়া বাতাস, দুঃখ দিলে দুঃখ পাবি। মিশ্র অ্যালবাম-২০০৯-তে আসমান সাক্ষী, চন্দ্রদেবী। চলচ্চিত্র : ২০০০ সালে শ্রাবণ মেঘের দিন, ২০০৭-তে রূপকথার গল্প, ২০১২-তে নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ ও আমার দেশের মাটি এবং ২০১৩ তে মাটির পিঞ্জিরা। অভিনীত চলচ্চিত্র : মাটির পিঞ্জিরা, নাটক: পাগলা ঘোড়া। আধ্যাত্মিক গানের কালজয়ী শিল্পী বারী সিদ্দিকীর পূর্ণ নাম আবদুল বারী সিদ্দিকী। বারী সিদ্দিকীর এক কন্যা ও দুই ছেলে। বাংলাদেশে তাঁকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত না করলেও প্রবাস প্রজন্ম জাপানের একটি সংগঠন তাঁকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন। অথচ উঁচু মাপের এত বড় শিল্পী বারী সিদ্দিকীকে জীবদ্দশায় কেন পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করলো না প্রশ্নটা থেকেই যায়। গৌরী প্রসন্ন মজুমদার বলেছিলেনÑ বিশ্ব কবির ‘সোনার বাংলা’, নজরুলের ‘বাংলাদেশ’, জীবনানন্দের ‘রূপসী বাংলা’ রূপের যে তার নেই কো শেষ, বাংলাদেশ। অথচ সেই সুজলা-সুফলা বাংলাদেশেই বারী সিদ্দিকীর মতো সাদামনের গুণী গায়ককে মৃত্যুর আগে রাষ্ট্র সম্মানিত করলো না। আমাদের স্বাধীন এই বাংলাদেশে কিছু কিছু স্বার্থপর সংস্কৃতির নেতাদের কারণেই মেধাবীদের মূল্যায়িত করা হয় না। জ্ঞানী-গুণীদের মূল্যায়িত হলে তারা যে নিজেরাই ভেসে যাবেন কারণটা বোধহয় সেটাই।

লেখক পরিচিতি : মো: আকতার হোছাইন কুতুবী, সহ-সম্পাদক জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, দি গুডমর্নিং ও প্রধান সম্পাদক, জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠ এবং উপদেষ্টা সম্পাদক জাতির আলো, ঢাকা। E-mail : akterkutubinews@gmail.com , Cell : 01822858400