সিবিএন:
পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরবে আশা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন তাদেরকে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার। শিগগিরই এর বাস্তবায়ন শুরু হবে এবং রাখাইনে পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাবে রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ ব্লক পরিদর্শন শেষে রোববার বিকেলে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। এরপর তিনি নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কূটনৈতিক সফলতায় রোহিঙ্গা ফেরতে সই হওয়া সমঝোতা স্মারক ধীরে ধীরে কার্যকর হবে। এতে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে আহার, স্বাস্থ্যসহ সব ধরনের সুযোগ পাবে রোহিঙ্গারা। এটাই নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের মতো বাংলাদেশসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কামনা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রপতি পাশবিকতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী-শিশু ও পুরুষদের সঙ্গে কথা বলেন।

রোহিঙ্গাদের তিনি বলেন, কেবল বাংলাদেশ না, সমগ্র বিশ্ব রোহিঙ্গাদের পাশে আছে। আপনারা যাতে সম্মানের সঙ্গে ফেরত যেতে পারেন এবং নিরাপত্তার সঙ্গে নিজ দেশে বসবাস করতে পারেন, তা নিশ্চিত করে আপনাদের ফেরত পাঠানো হবে।

রোহিঙ্গারা আশ্রিত দেশের রাষ্ট্রপতিকে কাছে পেয়ে নিজেদের বেদনার কথা তুলে ধরেন। সরকার প্রধানের পর রাষ্ট্রপ্রধান তাদের দেখতে আসায় রোহিঙ্গারা শোকরিয়া জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রপতির দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেনসহ সেনা ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কেন্দ্র ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রমের সার্বিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন।

এছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। সোমবার কক্সবাজারে ইন্ডিয়ান ওশান নেভাল সিম্পোজিয়ামের ‘মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এক্সসারসাইজ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।