মো: ফারুক ,পেকুয়া :

সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পেকুয়া উপজেলা থেকে দশ শীর্ষ নেতা বিভিন্ন পদবীতে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে সম্মানীত সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে শীর্ষ দুই নেতাকে।

জেলা কমিটিতে সম্মানীত সদস্য হিসাবে কমিটিতে রাখা হয়েছে বিএনপির নীতি নির্ধারনী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য পেকুয়ার সন্তান সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ তার স্ত্রী সাবেক সাংসদ হাসিনা আহমেদ। এছাড়াও আরো যাদের স্থান হল, আবু তাহের চৌধুরী বাচ্চু মিয়া উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, আলী আহসান চৌধুরী ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, পেকুয়া বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ সদস্য, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন সদস্য, মাষ্টার জোবাইর সদস্য, সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ আহমদ সদস্য, মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জিনু সদস্য, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রণি। কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদের নিজ উপজেলা থেকে এ প্রথম জেলা কমিটিতে দশ নেতার স্থান হল। এ নিয়ে পেকুয়ার নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে অভিনন্দন বার্তা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে পেকুয়ার সন্তান সালাউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সভাপতি, রমিজ আহমদ সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ সালাউদ্দিন আহমেদের অনুসারী হিসাবে নয় নেতার স্থান হল সদ্য ঘোষিত জেলা বিএনপির কমিটিতে।

সদর পূর্বজোন বিএনপির আহ্বায়ক প্যানেল চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জেলা কমিটিতে সাংগঠনিক ভিত্তি গঠন করতে পেকুয়া থেকে স্থান পাওয়া নেতাদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। যারা স্থান পেয়েছেন তারা সবাই ত্যাগি নেতা আর নেত্রী। তাদের নেতৃত্বে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি অনেক শক্তিশালী।

ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া লুৎফা হায়দার রণি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বর্তমানে আমি উপজেলা মহিলা দলের সিঃসহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন সাহবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। সদ্য ঘোষিত কমিটিতে আমাকে সদস্য হিসাবে মনোনীত করায় প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

পেকুয়া মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জিনু বলেন, প্রিয় নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের নির্দেশে বিএনপিকে সংগঠিত করতে দীর্ঘদিন ধরে পেকুয়ার রাজপদ দখলে রেখেছি। অনেক মামলা মোকদ্দমার আসামী হয়েছি। যার প্রতিদান নেত্রী খালেদা জিয়া, সালাউদ্দিন আহমেদ ও জেলা বিএনপির সভাপতি সম্পাদক আমাকে সদস্য মনোনীত করে দিয়েছেন।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া জানাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।