ইফতেখার শাহজীদ, কুতুবদিয়া:
কুতুবদিয়ায় লবণ মাঠের জমি নিয়ে গুরুতর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের বশির উল্ল্হা সিকদার পাড়ায় (৭ নং ওয়ার্ড) এ ঘটনা ঘটে। এতে মিনা আকতার (২২) ও মোহাম্মদ ইউনুছ (২৭) নামে দুই জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশংকা জনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিনা আকতারকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এবিষয়ে আহত মোহাম্মদ ইউনুছের পিতা ও মিনা আকতারের শ্বশুর হাজী শাকের উল্লাহ বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) হাজী শাকের উল্লাহর মালিকানাধীন ৫০ শতক জমিতে লবণ উৎপাদনের জন্য তার বর্গাচাষা গিয়াস উদ্দিনের নিয়োজিত লোকজন প্রতিদিনের মত কাজ করছিল। সকাল ৮টার দিকে আসামীগণ অশ্লীল গালিগালাজ ও হইচই করে কাজে বিঘœ সৃষ্টি করলে হাজী শাকের উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ কারন জানতে চায়। এসময় স্থানীয় ছৈয়দুল্লাহর ছেলে মোঃ হাছান শরীফ (২২), হোছন শরীফ কালু (২০), মৃত রাহামত আলীর ছেলে ছৈয়দ উল্লাহ (৫৬) ও ছৈয়দ উল্লাহর স্ত্রী জাকেরা বেগম (৪০) সহ আরও ৫/৬ জন মিলে ইউনুছকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে এবং তার হাতে থাকা স্ক্রীণ টাচ মোবাইল সেট (আনুমানিক মূল্য বাইশ হাজার টাকা) কেড়ে নেয়। ইউনুছকে আসামীগণের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য তার অন্তস্বত্বা স্ত্রী মিনা আকতার ছুটে গেলে হোছন শরীফ তাকে পেটে সজোরে লাথি মেরে গুরুতর আঘাত করে। আঘাতের যন্ত্রণায় মিনা আকতার মাটিতে পড়ে যায় এবং তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এ সময় মোঃ হাছন শরীফ জোরপূর্বক মিনা আকতারের গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন (আনুমানিক মূল্য পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয় বলে এজাহার সূত্রে জানা গেছে। এমতাবস্থায় পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য মিনা আকতারকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং ইউনুছকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেন।

এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ মেহাম্মদ দিদারুল ফেরদৌস আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান।