জিকির উল্লাহ জিকু :
২৫ দিন কারা ভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা ওসমান গণি। ২২ নভেম্বর তিনি জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন।
প্রথমে কক্সবাজার জেলা যুবদল সভাপতি সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল কক্সবাজার জেলা বিএনপি অফিসে তাঁকে সংবর্ধিত করে।
মহেশখালীতে পৌঁছলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড.নুরুল আলম বিএনপি কার্যালয়ে বরণ করে নেন ওসমান গণিকে। এই কারাবরণকারী নেতা এখন সবার কাছে পরিচিত মুখ এবং আদর্শে পরিণত গেছে। সর্বশেষ নিজের এলাকা লম্বাঘোনা বাজারে পৌছলে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন সরওয়ারের নেতৃত্বে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড যুবদলের নেতৃবৃন্দ ফুলের মালা দিয়ে বরণ ও সংবধির্ত করেন। মিছিল সহকারে বাজার প্রদক্ষিণ করে তাকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মহেশখালীতে তিনিই একমাত্র রাজনৈতিক কর্মী যিনি শুধুমাত্র রাজনীতি ও আদর্শের কারণে কারাবরণ করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর সারা দেশের মত মহেশখালী উপজেলা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে জড়ো হয় গোরকঘাটা বাজারস্থ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে। উপজেলা কার্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর মিছিল শুরু হলে হঠাৎ পিছন থেকে আক্রমণ করে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। মিছিল থেকে ওসমান গণিকে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে । দীর্ঘ ২৫ দিন কারাবরণের পর আইনী লড়াইয়ে গতকাল ২২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
এদিকে যুবদলের মিছিলে বিনা কারণে পুলিশি আক্রমণ নিয়ে নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মাঝে এখনো বিস্ময় কেন কি কারণে শান্তিপূর্ণ মিছিলে আক্রমণ। অনেকের প্রশ্ন কেন তাঁহারা সেদিন উপস্থিত ছিলনা ? আর কত দিন এভাবে থাকবে একটি বৃত্তের মাঝে রাজনীতি ? ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের যুবদল কর্মী রবি বলেন, ওসমান গণি এখন আমাদের মাঝে আদর্শ ও প্রেরণার নাম। আমরা আর কারো বৃত্তে বন্দি হয়ে রাজনীতি করবনা এটাই এখন আমাদের মাঝে প্রতিজ্ঞা। বর্তমানে তরুণদের মাঝে অনুপ্রেরণা ও প্রতিবাদ সংগ্রামের প্রতীকি নাম হচ্ছে ওসমান।