আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ছাত্রের অপেক্ষায় ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করে বসেছিলেন শিক্ষিকা। অপেক্ষার একপর্যায়ে ক্ষুদে বার্তা আসে ছাত্রের মোবাইল থেকে। জানতে পারেন সে এসে গেছে।

শিক্ষিকা ফলাবর্তনে লেখেন, ‘ভেতরে এসো। দরজা খোলা আছে।’ কিন্তু তার পরই চমকে ওঠেন তিনি। দরজা খুলে পুলিশ সদস্যদের ঢুকতে দেখেন। বুঝতে পারেন ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায়। শিক্ষিকা হান্টার ডে এখন কারাগারে। পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন তিনি।

২২ বছরের হান্টার ওকলাহোমার ইউকন হাইস্কুলে রসায়ন পড়ান। কোনো শিক্ষিকার সঙ্গে সন্তানের দৈহিক সম্পর্কের ব্যাপারে সন্দেহ হয়েছিল ছাত্রের মা-বাবার। সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশের দ্বারস্থও হন তারা।

এর পর ওই ছাত্রের ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়। তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় সবকিছু। দেখা যায়, অভিভাবকদের অনুমান একেবারে সঠিক। এরই মধ্যে নিজের শিক্ষিকার সঙ্গে মিলিত হয়েছে ওই ছাত্র।

গত বুধবার আবার একই কর্ম করতে চলেছে তারা। এর পরই ছাত্রের মোবাইল থেকে তার হয়ে মেসেজ পাঠিয়ে ফাঁদ তৈরি করে পুলিশ। সেই ফাঁদে অনায়াসেই পা দেন শিক্ষিকা হান্টার ডে।

তিনি ছাত্রকে জানিয়ে দেন, তাড়াতাড়ি আসতে। যাতে তার স্বামী ফেরার আগেই বাড়ি থেকে চলে যেতে পারে সে। এর পরই পুলিশ তার বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের দাবি, এ ধরনের ঘটনা বিশ্বাসভঙ্গের চরম উদাহরণ। শিক্ষকদের ওপর ভরসা করেন অভিভাবকরা। ভাবেন, শিক্ষকরাই তাদের সন্তানদের রক্ষা করবেন এবং ভবিষ্যৎ গড়ে দেবেন। সেই জায়গায় ছাত্রের সঙ্গেই শিক্ষিকার এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা অত্যন্ত অনৈতিক।

পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত হান্টার তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন।