শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ইয়াবা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ আহত হয়েছে ৫ জন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। ১৯ নভেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কলেজ গেইট সংলগ্ন ইউনুছের দোকানের সামনে। আহতরা হলেন ঈদগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ মেহেরঘোনার মোহাম্মদ কালুর পুত্র শফি উল্লাহ, নুরুল আলমের পুত্র সাইফুল ইসলাম, ভা¹ুইম্যা পাড়ার মৃত শহর মিয়ার পুত্র আবুল কালাম, তার শালী জেসমিন আরা ও মুবিনা আক্তার। সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন ৯টার দিকে কলেজ গেইট সংলগ্ন এলাকায় আবুল কালাম ও শফি উল্লাহদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় তারা আবুল কালামকে দক্ষিণ মেহেরঘোনার কোন ছেলেকে ইয়াবা বিক্রি না করার হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে। এ থেকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির রূপ নিলে আবুল কালাম লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর উপর্যুপরী হামলা চালায়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। হামলার বিষয়টি দক্ষিণ মেহেরঘোনায় জানাজানি হলে রাত ১১টার দিকে ঐ এলাকায় ২/৩শত লোক লাঠিসোটা, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শ্লোগান ধরে ভা¹ুইম্যা পাড়ার আবুল কালামের শ^শুর বাড়ীতে গিয়ে তাকেও উপর্যুপরী হামলা, মারধর করে। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে জেসমিন আরা ও মুবিনা আক্তারকে হামলা চালায় এলাকার লোকজন। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই নছিম উদ্দীনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবুল কালামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ভাই আবদুর রশিদ জানিয়েছে। ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে নারী সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আহত শফিউল্লাহ ও সাইফুলের শরীরে বেশ কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২ এলাকাবাসীর মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোন পক্ষ অভিযোগ মামলা না করায় কাউকে আটক করতে পারেননি স্থানীয় পুলিশ। তদন্ত কেন্দ্রের ২য় কর্মকর্তা দেবাশীষ সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মামলা করলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছে আহত আবুল কালাম দীর্ঘদিন ধরে মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। পাশর্^বর্তী এলাকা হওয়ায় তার দাপট ছিল বেশি। মূলত আহত সাইফুল ও শফিউল্লাহ মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় তাদের উপর প্রথমে হামলা করেছে।