ডেস্ক নিউজ:

নতুন এক গবেষণা বলছে, যারা একটি বা একাধিক কুকুর পোষেন, তাদের হৃদরোগ বা অন্য কোন কারণে অকালে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক কম।
কুকুর মালিকেরা নতুন গবেষণার এই ফল শুনে খুশী হতে পারেন, কিন্তু তাদের বেশিরভাগই হয়ত নিশ্চিতভাবেই বলবেন যে তারা নিজেদের খুশীর জন্যই কুকুর পোষেন।
অন্তত কোন রোগমুক্তির আশায় তো নয়ই। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, কেবল মানসিক প্রশান্তি নয়, কুকুর পোষার আরো বড় উপকারিতা রয়েছে।
সুইডেনে প্রায় ৩৫ লক্ষ বাসিন্দার ওপর চালানো এক জরিপে এমন ফল দেখেছেন গবেষকেরা।
একাকী মানুষের জন্য কুকুর হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গীছবির কপিরাইটNICK TRIGGLE/AMBER EVANS
Image caption
একাকী মানুষের জন্য কুকুর হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী
বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্টিফিক রিপোর্টে প্রকাশিত ঐ গবেষণায় বলা হয়েছে, গবেষক দল ২০০১ সাল থেকে ২০১২—এই ১২ বছর সময়ের মধ্যে হৃদরোগ এবং অন্যান্য কারণে মানুষের অকাল মৃত্যুর হারের তথ্য এবং কারণ পরীক্ষা করেছে।
জাতীয়ভাবে নিবন্ধন করা ৪০ থেকে ৮০ বছর বয়সী মানুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
দেখা গেছে, এর মধ্যে যারা কুকুর পোষেন, বিশেষ করে শিকারী জাতের কুকুরের মালিক যারা, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হবার হার বেশ কম।
বিশেষ করে টেরি, রিট্রিভার এবং গন্ধ শুকে চিহ্নিত করার ক্ষমতা আছে, এমন কুকুর পোষেন যে সব মালিক, তাদের এমনকি সব ধরণের হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
এর কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, কুকুর পোষার কারণে যে কাউকে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হয়।
আরো পড়ুন: আসেম সম্মেলন: রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কি হবে?
ভারতে প্রচারাভিযান: সেলফি যেন ‘কিলফি’ না হয়
এছাড়া কুকুর থাকার কারণে বাড়িতে কিছু ক্ষুদ্রাতিকায় ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যা মানুষের জন্য উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, কুকুরের মালিক যারা একা থাকেন তাদের ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি এবং ১১ শতাংশ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম থাকে।
গবেষক দলের সদস্য ডা মুবাঙ্গা বলছেন, এসব ক্ষেত্রে কুকুর পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠে। যে কারণে একাকীত্ব অনেকটাই ঘুচে যায়।
এর আগে এক গবেষণায় বলা হয়েছিল, যারা একা থাকেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার অসুখবিসুখ বা হৃদরোগে আক্রান্ত হবার আশংকা বেশি।