হারুনর রশিদ, মহেশখালী:
কক্সবাজারে মহেশখালী উপজেলার মহেশখালী-কক্সবাজার ফেরি পারাপারের জন্য খাল খননের উদ্বোধন হয়েছে। উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে দ্রুত এগিয়ে চলছে দেশ। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। মহেশখালী বাসির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে ফেরি পারাপারের জন্য মহেশখালী-বাঁকখালী নৌ-পথের (গোরকঘাটা অংশের) খাল খনন কাজ শুভ উদ্ভোধন হয়েছে। বর্তমান সরকার জনবান্ধব সরকার, উন্নয়নের সরকার। খাল খনন করে আগামী ২ মাসের মধ্যে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা হলে মহেশখালীর মানুষ গাড়ী যোগে কক্সবাজার জেলা সদরের সাথে নিবিঘেœ যোগাযোগ করতে পারবে।

১৭ নভেম্বর সকাল ১০ ঘটিকার সময় ডিজিটাল আইল্যান্ড সেন্টার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর আয়োজনে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিভীষণ কান্তি দাশ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এম. আজিজুর রহমান, মাতারবাড়ীর চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ, শাপলাপুরের চেয়ারম্যান নুরুল হক, কুতুবজোমের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকনসহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেন, সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো মহেশখালীতে বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর এগুলো বাস্তবায়ন হতে অত্র এলাকার জনসাধারণের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। এগুলো বাস্তবায়িত হলে এখান মানুষের জীবন জীবিকার মান বদলে যাবে।
সভার সভাপতি মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুল কালাম বলেন, উন্নত দেশ সিঙ্গাপুর যেভাবে উন্নয়নের ছোয়া লেগে বদলে গেছে, মহেশখালীর অবস্থাও সিঙ্গাপুরের ন্যায় বদলে যাবে। এখানকার মানুষের জীবন জীবিকার আমুল পরিবর্তন আসবে। ফেরি পারাপারের জন্য খাল খনন দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে কক্সবাজারের সাথে ফেরি পথে গাড়ীযোগে সহজে যোগাযোগ করতে পারবে এখানকার মানুষ। আর বিড়ম্বনায় পড়বেনা দ্বীপবাসী।