ইমাম খাইর, সিবিএন:

দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা টেকনাফের সেন্টমার্টিন জেটির বেহাল দশা। দীর্ঘদিন এই জেটির সংস্কার ও উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেই। অযত্ন, অবহেলার শিকার সেন্টমার্টিনের জেটি। অথচ প্রতিদিন স্থানীয়দের পাশাপাশি হাজারো পর্যটক একমাত্র এই জেটি হয়ে চলাচল করছে। নেই বিকল্প জেটি। অবজ্ঞার শিকার এই জেটি যে কোন সময় ধসে পড়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবীব খান সিবিএনকে জানান, সেন্টমার্টিন জেটিকেন্দ্রিক সরকার কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। ব্যবসা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আসছে পর্যটকবাহী জাহাজ। এই জেটি হয়ে প্রবশে করছে নানান দেশের পর্যটক।

তার মতে, সেন্টমার্টিনের পুরনো এই জেটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা। যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। সময় থাকতে পরিকল্পনা নেয়া দরকার।

হাবীব মেম্বার জানান, জেটির বিষয়ে বহুবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি মনে করেন, ঝুঁকিপূর্ণ জেটির কারণে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটক বিমুখ হয়ে যাবে। বিপর্যয় এড়াতে আপাততঃ রেলিংগুলো হলেও মেরামতের ব্যবস্থা করা দরকার।

স্থানীয়রা জানায়, এই জেটিতে দৈনিক পাঁচটি জাহাজ ভেড়ানো হয়। প্রতি জাহাজে অন্তত ৩০০ যাত্রী থাকে। পর্যটন মৌসুমে প্রতি জাহাজের যাত্রী বাড়ে দ্বিগুনের চেয়ে বেশী। এমন অবস্থায় দ্বীপের একমাত্র জেটিটি সংস্কার করা না হলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০২-০৩ অর্থবছরে এই জেটি নির্মাণ করা হয়।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে সেন্টমার্টিনের জেটির তিনটি গার্ডার ও রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনো গার্ডার ও রেলিং সংস্কার করা হয়নি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন,টেকনাফ-সেনটমার্টিন যাত্রায় দমদমিয়ায় বিভিন্ন জাহাজের নির্দিষ্ট জেটি রয়েছে। কিন্তু সেন্টমার্টিন হতে ফেরার পথে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত জেটিতে সকল জাহাজ তরী ভিড়ান। সবাই একটি জেটি দিয়েই টেকনাফের উদ্দ্যেশ্যেই রওয়ানা করেন। একটি জেটিই ভরসা সবার।

তিনি বলেন, সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত জেটি দিয়ে জাহাজে ওঠানামার সময় পর্যটকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এটি দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা দরকার।