প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

রামুর ঐতিহ্যবাহি শ্রীশ্রী রামকুট তীর্থধামে ভক্তদের চলাচলের রাস্তা নির্বিঘœ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি ওই স্থানের জায়গা সঠিক ভাবে পরিমিতকরণের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়। বুধবার জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন বিষয়টি উপস্থাপন করলে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রামু উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসিকে নির্দেশ দেন। জানা যায়-দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ঐতিহাসিক ও প্রত্মতাক্তির নির্দশন ও পর্যটন স্থান হচ্ছে শ্রীশ্রী রামকুট তীর্থধাম। এখানে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মন্দির, মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল, পুরোহিতদের বসতঘর, ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রসহ নানা স্থাপনা। বিএস খতিয়ানের ৮৯৯২,৮৯৯৩,৮৯৯৫,৮৯৮৭,৯০০৩নং দাগাদির বিপরীতে হিন্দু ধর্মীয় কাজে ব্যবহার্য্য লিপিবদ্ধ আছে। ৯০১৯ দাগের আন্দর ২০ শতক জমি হিন্দু মন্দিরে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার্য্য মর্মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রামু ২টি প্রতিবেদনও দিয়েছে। তাছাড়া এই রাস্তার সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সাংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন দফায় অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, পাশ^বর্তী রামকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের বড়ুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন ও শ্রমনদের নিয়ে শ্রীশ্রী রামকুট তীর্থধামের পুকুর, জায়গা ও তীর্থধামের চলাচলের রাস্তা দখল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া গত ১২ নভেম্বর জেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় কমিটির সদস্য ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দনের মাধ্যমে রামকুট তীর্থধামের চলাচলের রাস্তা নির্বিঘœসহ তপশীলোক্ত জমির পরিমাপ পরিচিহিৃত করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করে শ্রীশ্রী রামকুট তীর্থধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডভোকেট দীলিপ ধর ও সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ সিকদার।