শাহেদ মিজান, সিবিএন:
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে। মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তারা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। বিশ্ব সম্প্রদায় সেভাবে কাজ করছেন। আমরাও কূটনৈতিক ভাবে সেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রাতারাতি এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই যতদিন রোহিঙ্গারা থাকবে ততদিন মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে। সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন, আমরা মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা উদারতার জায়গা থেকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া বাংলাদেশের মানুষও এগিয়ে এসেছে। এই সহযোগিতার জন্য সবাই প্রশংসার দাবি রাখেন।

তিনি বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় এই সব লোকজনকে তাদের তাদের ক্ষতি নিরূপণ করে ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

গওহর রিজভী বলেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে নারী ও শিশুরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদেরকে বিশেষ যতœ নিয়ে সহায়তা করতে হবে। তাদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত এনজিওসহ প্রশাসনকে খোঁজ-খবর রাখতে হবে। নারী ও শিশুদের সে দেশের ভাষায় শিক্ষা ও কাজের হাতের কাজ শেখাতে হবে। যেন তারা সেখানে গিয়ে ভালো নাগরিক হতে পারে।

মতবিনিময় সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে উখিয়া ও টেকনাফের সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরেন শরণার্থী কমিশনার আবুল কালাম। তিনি রোহিঙ্গাদের কারণে সেখানকার পরিবেশ, লোকজন, শিক্ষা, প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র গওহর রিজভীর কাছে তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল ও সিভিল সার্জন আবদুস সালাম। উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার পুত্র ববি ছিদ্দিকী। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও ববি সিদ্দিক সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এসময় তারা রোহিঙ্গাদের সাথে বলেন।