মো:ফারুক, পেকুয়া:

হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে সাম্প্রতিক সময়ের বৃহত্ত নামাজে জানাযার মাধ্যমে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র।

শুক্রবার (১০নভেম্বর) বাদে আছর পেকুয়া বাজারস্থ মাঠে কক্সবাজার জেলা আ’লীগ, চকরিয়া-পেকুয়া-মাতামহুরী উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার জনতা নামাজে জানাযায় অংশগ্রহন করেন। পুরো মাঠ লোক সমাগম হয়ে পার্শ্বে অবস্থিত বিভিন্ন ভবন ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ জানায়ায় অংশগ্রহন করেন।

মরহুম ফরিদুল আলমের স্মৃতিচারণ করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এ্যাড: কামাল হোসেন, কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সাবেক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড: আমজাদ হোসেন, সহসভাপতি রেজাউল করিম, শিল্প ও বাণিজ্যে বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ মিথুন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমর উদ্দিন, জেলা আ’লীগ সদস্য যথাক্রমে আবু হেনা মোস্তফা কামাল, এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, এস.এম গিয়াস উদ্দিন জিএম আবুল কাশেম, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগ সভাপতি জাফর আলম, উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান এম.শহিদুল্লাহ, কামাল হোসেন, মাশুক আহমেদ, আবুল শামা শামীম, মফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর সত্তার, ওমর রিয়াজ চৌধুরী, বেলাল উদ্দিন, শফিউল আলম, নুরুল আবছার,সাইফুল ইসলাম বাবুল, এস.এম শাহাদৎ হোসেন, মমতাজুল ইসলাম, জুবাইদুল্লাহ লিটন, জায়েদ মোর্শেদ, মো: ফারুক, এ্যাড: রাশেদুল কবির, এহেতাশামুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

সন্ধ্যা ৬টায় জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবনে আ’লীগ নেতা এম. শহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে জেলা আ’লীগ, পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নিয়ে শোক দিবস পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সবার সম্মতিক্রমে জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা এ্যাড: কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক, জেলা আ’লীগ সদস্য গিয়াস উদ্দিনকে যুগ্ন-আহ্বায়ক ও জেলাপ পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য একটি শোক পালন কমিটি ঘোষনা করা হয়। আগামী মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সদর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শোক সভার আয়োজনের ঘোষনা দেওয়া হয়।

লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১.২০ মিনিটে ঢাকাস্থ আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। সাড়ে ৫ বছরের শিশু সন্তান ও স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্বীয় স্বজন রেখে যান। রাতেই তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু ইউনিয়ন ও উপজেলা আ’লীগের রাজনীতির কর্ণধার ছিলেন তিনি। এলাকায় স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসাবে তার অধিক পরিচিতি রয়েছে। জানাযায় হাজার হাজার তার প্রমাণ হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তার পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দরা।