জিয়াউল হক জিয়া , চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক। অত্র পার্কটি ৯শ হেক্টর বনভূমির উপর বিস্তৃত। এ পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যর মনোরম দৃশ্য ও বন্যপ্রাণী নিয়ে সাজানো দর্শনার্থীদের আনন্দের উপভোগীয় কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনে সরকারি সফরে এসেছিলেন  প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আলম চৌধুরী। গত ৮ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সাফারী পার্কের ভিতরে পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শনে সময় কাটিয়েছেন তিনি।

পরিদর্শনকালীন সময়ে প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের প্রধান ফটকের সামনে বিশাল আকারে ঘেরাও করে দাঁড় করানো স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কার্য দেখে মুগ্ধ হন। পরে পার্কের ভিতরে ঢুকে প্রথমে জাদুঘর এভাবে , বানর , ভাল্লুক , হরিণ , জলহস্তি , রয়েল বেঙ্গল টাইগার , সিংহ , অজগর , গয়াল , স্পিং বক্স ,বেষ্টনী এলাকাজুড়ে হেটে-হেটে এ বন সংরক্ষক পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন করেন। পরে তিনি নিজ হাতে রাঙ্গামাটি থেকে আনা অপূর্ব সুন্দরের মা-হরিণের বক্সের দরজা খুলে বেষ্টনীতে ছেড়ে তাকে উন্মুক্ত করে দেন। এতে তিনি খুবই আনন্দ পান। এ সময়ে তিনি সাংবাদিকদেরকে জানান, এশিয়া মহাদেশের সর্ব বৃহৎ আয়তনের এ পার্কটি আন্তর্জাতিক মানের পার্ক হিসেবে দর্শনার্থীদের আনন্দ উল্লাস উপভোগীয় স্মরণীয় দৃশ্যের পার্কে রূপান্তরিত করা হবে অতি অল্প সময়ে এমন পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করেছি এবং সরকারের কাছ থেকে পার্কের বিভিন্ন পয়েন্টের উন্নীতির জন্য কাজ করার বাজেটের মাষ্টাররোলও হয়েছে । সুতরাং ইতিমধ্যে এর পুরোদমে কাজ শুরু হবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, হল আমি এ পার্কে আসার পূর্বে আমার সন্নিকটে থাকা গাজীপুর সাফারী পার্কে গিয়েছিলাম ।ঐখানে গিয়ে আমি বন্যপ্রাণীর সমাহার বেশী দেখলেও তেমন আনন্দ উপভোগ করতে পারিনি। এ কারণে যে , বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক এটি সম্পূর্ণরূপে বনভূমির প্রাকৃতিক গাছ-গাছালীর সৌন্দর্য্যে ভরপুর । তাছাড়া এখানে প্রাণীদের জন্য বিশাল এরিয়া দিয়ে যে বেষ্টনী তৈরী করা হয়েছে এখানে বন্যপ্রাণীরা তাদের গহিন বনে বসবাসের মত তাদের জীবন-যাপন চালাতে সক্ষম হবে। তাই আমি বঙ্গবন্ধু এই পার্কটি দেখার জন্য পুনরায় আবার আসব । তখন একটি রাত আমি এখানে অবস্থান করে সুদুর বিস্তৃত পার্কটি অলিতেগলিতে ঘুরেফিরে দেখে যাব বলে অঙ্গীকারবন্ধ করেন। পরে পার্কের বাকী অংশটুকু গাড়ী পরিদর্শন করলেন । পরিদর্শন শেষে পার্কের ভিতরে বৈদ্যুতিক সাব-ষ্টেশন অর্থ্যাৎ ২শ কেভি বিদ্যুতের স্পেশাল ব্যবস্থা দেখে কক্সবাজার-চকরিয়া-ডুলাহাজারা বৈদ্যুতিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা , কর্মচারীগণকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন গত ০৬নভেম্বর এ বৈদ্যুতিক সাব-ষ্টেশন উদ্বোধন হলেও দ্রুত গতিতে গত ৯নভেম্বর বিদ্যুতের সরবরাহের লাইনটি চালু করা হয় উক্ত তারিখের দুপুর ২টায়।

সরকারি সফরে আসা প্রধান সংরক্ষকের সঙ্গে যারা নিরলসভাবে সার্বক্ষণ সময় কাটিয়েছিলেন, এ কর্মকর্তারা হলেন চট্টগ্রাম (সাফারী পার্ক) বিভাগীয় প্রধান (ডিএফও) এস.এম মাওলা , কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় প্রধান হক মাহবুব মোর্শেদ , কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আলী কবির । সহকারী বন সংরক্ষক (উত্তর) মো: বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ মো: আব্দুল হাই , বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (রেঞ্জ) কে.এম মোর্শেদুর আলম , ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুল মতিন , সাফারী পার্কের সহকারী কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম এবং ডুলাহাজারা ও রিংভং ফাঁসিয়াখালী বিট কর্মকর্তা রাজিব উদ্দীন ইব্রাহীম সহ এনামুল হক । এছাড়াও গত ৯নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের স্পেশাল বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন চালু বা সরবরাহ করার জন্য অতীব কষ্টের সহিত উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কর্মকর্তা (জি.এম) নুর মো: আজম মজুমদার , টেকনিক্যাল অফিসার (ডি.জি.এম) আব্দুল নুর , চকরিয়া অফিস ইনসার্জ (এ.জি.এম) হামিদুল হাসান সহ ডুলাহাজারা পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের নিষ্ঠাবান পরিশ্রমী কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল।