পরীক্ষার কেন্দ্রে নিজ নিজ আসন খুঁজতে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের শিকার হতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গত ১লা নভেম্বর হতে জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আমি সকাল ৯ টা হতে আমাদের উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছিলাম। যে বিষয়টি আমি পর্যবেক্ষণ করেছি তা হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের আসন খোঁজতে চরম ভোগান্তি। দূরদূরান্ত হতে আগত পরিক্ষার্থীদের জন্য আসন বিন্যাস করার সময় আগের দিন স্কুল কেবিনেট হিসেবে আমি সরজমিনে উপস্থিত ছিলাম, তাই আমি আগে থেকে জানতাম কোথায় কারা বসবে। যতটুক সম্ভব হয়েছে সবাইকে সাহায্য করার চেষ্টা কম ছিলো না আমার। আবার ৯টা ৩০ মিনিটের সময় গেলাম উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমাদের স্কুলের (উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) পরীক্ষার্থীদের অবস্থা জানতে। সেখানে গিয়ে দেখি অবস্থা আরও বেশি বেহাল। কেউ সহজে নিজ নিজ আসন খোঁজে পাচ্ছে না। পরিক্ষার্থীরা চারদিক ছুটাছুটি করছে, এ হল থেকে ঐ হল। তারা কেউ থেমে নেই। পরিক্ষার হল এবং নিজ আসন খোজতে তাদের যে পরিমান কষ্ট উপেক্ষা করতে হচ্ছে তা দেখে আমার মতো অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছে। অভিবাবকরাও থেমে নেই, সন্তানদের আসন খোজতে তারাও দিশাহারা প্রায়। এখন আমার কথা হচ্ছে, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এসে এ পুরনো আসন বিন্যাস ব্যাবস্থা কতটুক গ্রহণযোগ্য? দেশে সব ক্ষেত্রে যখন ডিজিটাল পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে কেন আমরা পিছিয়ে?

যদি পরীক্ষার আগের দিন নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ওয়েব সাইট থেকে আসন বিন্যাসটা আপডেট দেয়া হয় তাহলে পরীক্ষার্থীদের এমন ভোগান্তি পোহাতে হবে না। আসতে হবে না পরীক্ষার্থীদের ২ ঘন্টা আগে পরিক্ষা কেন্দ্রে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন, বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে একটি সুন্দর সমাধানের পথ বের করবেন। আমরা আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ হবো।

ইতি:
হাসেম সিকদার জিসান
স্টুডেন্ট কেবিনেট প্রধান
উখিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যায়
উখিয়া, কক্সবাজার।