সরকারী সহযোগিতার অভাবে ফুটবলের মান ও জনপ্রিয়তা তলানিতে

মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার

ঈদগাঁওতে প্রচুর ফুটবল প্রতিভা থাকলেও তা বিকাশের কোন ক্ষেত্র নেই। সরকারী সহযোগিতার অভাবে ফুটবলের মান ও জনপ্রিয়তা তলানিতে। ফুটবলের এ অনুর্ভর ভূমিকে পরিচর্যার মাধ্যমে উর্বর করতে হলে দক্ষ ফুটবলার ও সংগঠক প্রয়োজন। প্রতিভাকে কখনো আটকানো যায় না। এর ঝিলিক একদিন না একদিন জ¦লে উঠবেই। ফুটবলারদের মাঠে দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও প্রতিভা প্রমাণ করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে ফুটবলে আগ্রহী করে তুলতে হবে। জনগণকে ফুটবলমুখী করতে হলে খেলায় আধুনিক কলা-কৌশলের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। অভাবের তাড়না ও সমন্বয়ের অভাবে জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলার তৈরি করা যাচ্ছে না। ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গনকে জাগিয়ে তুলতে হলে ফুটবলারদের পারষ্পরিক সম্প্রীতি সৃষ্টি ও মান অভিমান ত্যাগ করতে হবে। কঠোর সাধনার মাধ্যমে প্রতিভার যথাযথ বিকাশ ঘটাতে হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। দেশে ফুটবলের এ ক্রান্তিলগ্নে আসন্ন মিনিবার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট এলাকায় প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিভা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ৮ নভেম্বর রাতে সেভেন স্টার ইউনাইটেড বৃহত্তর ঈদগাঁও কর্তৃক লোগো ও জার্সি উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত খ্যাতনামা ফুটবলার, সংগঠক ও ফুটবল প্রেমী ও শুভাকাঙ্খীরা এ অভিমত ও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাজারের পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন সহসভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আনচারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন সহ-সম্পাদক মো. হানিফ, ঈদগাঁও নিউজ চেয়ারম্যান ও ঈদগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মো. রেজাউল করিম, জালালাবাদ এমইউপি মোফাচ্ছেল মুফি, ফ্রেন্ডস এ-ওয়ান এসোসিয়েশন সভাপতি জসিম উদ্দীন। উপস্থিত ফুটবল ব্যক্তিত্ব সিরাজুল হক, ফুটবল সংগঠক মো. বশির। সংগঠন সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ভাষ্যকার সাকলাইন মোস্তাকের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, যোগ্যতম অভিভাবক না থাকায় এতদ এলাকায় ফুটবল স্বপ্নের অপমৃত্যু হচ্ছে। প্রতিভাবান, মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলার সৃষ্টি হলে তারা একদিন জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে। ঈদগাঁওতে ক্রীড়াঙ্গনের কেবল প্রতিশ্রতি শুনে আসছি। কিন্তু কেউ তা বাস্তবায়ন করেনি। তাই এ প্রজন্মের ফুটবলারদের ঘরের আলো বাইরে ছড়াতে হবে। পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত কভারেজ বৃদ্ধির মাধ্যমে খেলোয়াড়রা উৎসাহ বোধ করবেন। ফুটবলের উন্নয়নে আশাবাদী হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। দর্শকদের নজর কাড়তে খেলোয়াড়দের প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। শেষে উপস্থিত ১৬টি দলের অধিনায়কদের মধ্যে জার্সি বিতরণ ও লোগো উন্মোচন করা হয়। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে স্থানীয় ৪টি ভেন্যুতে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এ টূর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ২০টি দল অংশ নেবে বলে আশা করছেন আয়োজক সংগঠক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় খেলার মাঠ সংস্কারে আয়োজকদের ১০ হাজার টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন। তিনি উপস্থিত কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে ফুটবলের নানা সমস্যার কথা শুনেন।