ইমাম খাইর, সিবিএন
চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাবাজার মিয়াজিবাড়ীর বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ওবায়দুল হক মিয়াজি।
চোখের জল, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয়েছে প্রবীন এই নেতাকে।
বুধবার সকাল ১০টায় বাংলাবাজার ছুরতিয়া সিনিয়র মাদরাসা মাঠে নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে ওবায়দুল হক মিয়াজিকে সমাহিত করা হয়। তাঁর স্ত্রী ৮ বছর আগেই মারা গেছেন। বর্তমানে তাঁর চার ছেলে, চার মেয়ে ও নাতি-নাতনি আছে।
জানাজার আগে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে তার মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন এর নেতৃত্বে রাষ্ট্রের পক্ষে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।এ সময় সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল আলম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মাসুদ কুতুবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব বাঙালী, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবচার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, ঝিলংজা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল গফুর, বর্তমান চেয়ারম্যান টিপু সোলতান, কক্সবাজার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস এর স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব তোফায়েল উদ্দিন চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।প্রবীণ এই রাজনীতিকের মৃত্যুর সংবাদের পর থেকে তার বাড়ীতে ঢল নামে অসংখ্য মানুষের। ধর্ম, দল, মত নির্বিশেষে সব শ্রেনী পেশার মানুষ মরহুম ওবায়দুল হক মিয়াজিকে এক নজরে দেখতে ভিড় করে।
ওবায়দুল হক মিয়াজি হৃদরোগ, ডায়াবেটিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাকে কয়েক দিন আগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ওবায়দুল হক মিয়াজি ঝিলংজা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবুল ফজল চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে।
তিনি বাংলাবাজার ছুরতিয়া সিনিয়র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেু যুক্ত ছিলেন তিনি।