বিশেষ প্রতিবেদক:
মাতারবাড়ি ১২ একরের দ্বিতীয় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বিবদমান ফাইলের ক্ষতিপূরণের টাকা ছাড় না দিতে আদেশ দিয়েছে আদালত। গত ২২ অক্টোবর মহিবুল্লাহ গং ও হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস মধ্যে বিবদমান এই ফাইলের উপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কক্সবাজার যুগ্ম জেলা জজ আদালত। ওই গংয়ের মধ্যে অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত জমির নিয়ে মামলা বিচারাধীন থাকায় এই আদেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মাতারবাড়িতে নির্মিত হতে যাওয়া ১২’শ একরের দ্বিতীয় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জন্য মাতারবাড়ি মৌজার ২২৮, ২৩৬, ২৩৭, ৩১০, ৩৩৭, ৪৯১, ১০৯৩, ১৭৯০, ১৮৪২, ২০৬৪, ২১৯৪, ২১৭৩, ২১৭৭, ২১৯৫, ২২০১ বিএস খতিয়ানভুক্ত জমিগুলো অধিগ্রহণের আওতায় পড়ে। রোয়েদাদ নং- যথাক্রমে- ২৬, ২৯, ৩০, ৩৮, ৪৫, ৭০, ১৩৩, ২১৫, ২১৩, ২৪৪, ২৫১, ২৫৫, ২৭০, ২৭১, ২৭৪। মোট জমি পরিমাণ- ১১.৩০ শতক।
কিন্তু মহিবুল্লাহ গং ও হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এই জমির মালিকানা জন্য মহিবুল্লাহ গং অপর ৩২৫/১৬ নং একটি মামলা দায়ের করেন আদালতে। এই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকার পরও হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস গং অবৈধভাবে ওই জমির টাকা উত্তোলনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আবেদন করেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস গং টাকা উত্তোলনের জন্য অপচেষ্টা শুরু করে। খবর পেয়ে মহিবুল্লাহ গং ওই বিবদমান জমির ফাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১২৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। কয়েক বার শোকজ করার পরও বিবাদীরা শোকজের জবাব দেয়নি।
অন্যদিকে ওই বিবদমান ফাইলের টাকা বন্ধ রাখার জন্য মহিবুল্লাহ গং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানান। জেলা প্রশাসকও ওই ফাইলের টাকা স্থগিত রাখার জন্য ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস গংয়ের অপচেষ্টা অব্যাহত থাকে। তারা ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মোটা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে টাকা উত্তোলনের কাজ চালানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
অন্যদিকে বিবাদীরা শোকজের জবাব না দেয়ায় বাদি পক্ষের দায়ের করা মামলায় ওই ফাইলের টাকা ছাড় না দিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় যুগ্ম জেলা আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন। যার আদেশ নং- ১১, তারিখ-২২/০৮/২০১৭ ইংরেজী।