কক্সবাজার নিউজ ডটকম এ সংবাদ প্রকাশের পর

এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ার সীমান্তবর্তী পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের একমাত্র যাতায়তের প্রধান সড়ক বেহাল দশায় পরিণত হয়েছিল।এলাকার যাতায়তে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে কোথাও খানা খন্দকে আবার কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল।চকরিয়াস্থ বানিয়ারছড়া ষ্টেশন থেকে শিবাতলী পর্যন্ত এ সড়কের দুরত্ব ৩ কিলোমিটার। নিত্যদিন মরণ ঝুঁকি নিয়েই সড়কে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে প্রায় সহস্রাধিক নানা যানবাহন ও ২০হাজার জনগোষ্ঠী।সড়কে মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি কারণে ভেঙ্গে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।গত ৩ অক্টোবর “কক্সবাজার নিউজ ডটকম অনলাইন” পত্রিকায় সড়ক নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে এতে দৃষ্টিআকষণ হয় ফাইতং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি থোয়াইং সানু মার্মা ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রিজু’র।গত দুইদিন ধরে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা এলাকার বিভিন্ন লোকজন নিয়ে স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।ইউনিয়নের ভেতরে পাহাড় কেটে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাবে ২৪টি ইটভাটা। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে নিয়মিত ২৪টি ইটভাটার ইট বোঝাই করে বড় বড় ট্রাক ও ডাম্পার দিয়ে ইট টানার কারণে সড়কের বেহালদশায় পরিণত হয়েছিল।

সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে,চকরিয়া উপজেলার সীমান্ত ফাইতং ইউনিয়নের যাতায়তের প্রধান সড়কে বড় বড় গর্তে ইট,বালি,কংকর দিয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি-সম্পাদকের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সার্বিক সহযোগীতার মাধ্যমে স্বেচ্ছা শ্রমের মধ্যদিয়ে প্রায় ৫০জন শ্রমিক নিয়ে সড়ক সংস্কার কাজ করে যাতায়তের জন্য কোনমতে উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলেছেন ইউনিয়ন যুবলীগ।জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ৮-১০ হাজার লোক যাতায়ত করে। চকরিয়াস্থ বানিয়ারছড়া ষ্টেশন থেকে শিবাতলী পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব হচ্ছে প্রায় ৩কিলোমিটার।প্রতিদিন কম করে হলেও স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসাসহ প্রায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়তের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল এ সড়কে।কিন্তু সড়কটি দ্রুত মেরামতের ব্যাপারে এগিয়ে আসছেন এলাকার উঠটি বয়সের কয়েক যুবলীগের নেতৃবৃন্দরা।তারা এ কাজটি করে এলাকায় বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান।এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের মাঝে এক ধরণের আনন্দ দেখাগেছে। সড়কের বড় ধরণের কোন সংস্কারকাজ না করায় দিন দিন সড়কটি চলাচল অযোগ্য হয়ে বেহালদশায় পরিণত হয়ে পড়েছিল।জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দ্রুত সময়ে সংস্কার করতে সচেতনমহল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি থোয়াইং সানু মার্মা ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রিজু’র কাছে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন,সড়কটি নানা স্থানে ভেঙ্গে খানা খন্দক ও গর্ত হয়ে যায়। রাস্তা ভেঙে গর্তে হওয়ায় চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছিল শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।সাধারণ মানুষের যাতায়তের কথা চিন্তা করে ইটভাটা মালিক ও দলীয় নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে যাতায়তে উপযোগী করতে স্বেচ্ছাশ্রমের এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এলাকার মানুষের আন্তরিকতা ও সহযোগীতার মাধ্যমে এ সড়ক সংস্কার কাজ করে কিছুটা লাগব দূর করতে আমাদের এই পরিশ্রম।স্বেচ্ছাশ্রমে মাধ্যমে প্রায় ১কিলোমিটার সংস্কার কাজ করতে সক্ষম হয়েছি।সমাজের প্রত্যেক ভাল কাজে ইউনিয়ন যুবলীগ সাথে থাকবে ইনশাআল্লাহ।কক্সবাজার নিউজ ডটকম অনলাইন পত্রিকায় সড়কটি নিয়ে প্রতিবেদন করায় আমরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।