নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চার লাখ ছাড়িয়েছে। শনিবার (৪ নভেস্বর) পর্যন্ত চার লাখ পাঁচ হাজার ৮০১ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। গতকালও ১০ হাজার ৬৭ জন রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধিন করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর। উখিয়া উপজেলার কুতুপালং-১, কুতুপালং-২, নোয়াপাড়া, থাইংখালী-১, থাইংখালী-২, বালুখালী ও টেকনাফ উপজেলার লেদা- এই ৭টি মিয়ানমার ন্যাশনাল’স বায়োমেট্রিক ক্যাম্পে নিবন্ধনের কাজ চলছে।

রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেই লক্ষ্যে নিবন্ধনের ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার। সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজরের বেশি রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হতে হবে। ছবিযুক্ত এই কার্ডের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সঠিক পরিসংখ্যান রাখা যেমন সম্ভব, তেমনি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ সনাক্তকরণ কার্ড তৈরিতে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা যাবে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ২৫ আগস্টের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ২১ হাজার। সেই হিসেবে আরও ২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা এখনও নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে।