আজিম নিহাদ:
এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল তারা। কিন্তু পড়ালেখা ভালো না লাগায় জেএসসি পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে বাড়ি ছাড়ে দুই কিশোর। বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে কক্সবাজার পালিয়ে যায় তারা। পরে সেখানে ট্যুরিষ্ট পুলিশের হাতে আটক হয়। এরপর ট্যুরিষ্ট পুলিশ পরিবারের জিম্মায় তাদের তুলে দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চবিদ্যালয়ের এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল সাইফুল ইসলাম ও মিনার হোসেন। সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাই। তাদের বাড়ি বাঁশখালীর বাহারছড়া এলাকায়। গত বুধবার প্রথমদিনের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য দু’জনই সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে না গিয়ে কক্সবাজারে পালিয়ে যায়।
গত বুধবার দুপুর ১ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নামেন দুই কিশোর। পরে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি তাদের আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশের কাছে পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
কিশোর সাইফুল ইসলাম ও মিনার হোসেন জানায়, তারা এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পড়ালেখা ভাল না লাগার কারণে তারা পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কক্সবাজারে কয়েকদিন ভ্রমণ করে ঢাকায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তারা আরও জানান, বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা চুরি করে স্বর্ণালঙ্কার (১টি সোনার হার, ১ টি ব্রেসলেট, ২ জোড়া কানের দুল), ২টি মোবাইল ও নগদ ১২ হাজার ৪৩২টাকা নিয়ে যান।
ট্যুরিষ্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি বলেন, সমুদ্র সৈকতের কলাতলী মোড় পয়েন্টে তাদের আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক হলে পুলিশ সদস্যরা তাকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি দ্রুত গিয়ে নিজেও বেশ দীর্ঘক্ষণ অনুসরণ করেন। বিষয়টি তাঁর কাছেও সন্দেহজনক হলে তাদের আটক করে ট্যুরিষ্ট পুলিশ ভবনে নিয়ে যান তিনি। পরে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে পুরো ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন এ দুই কিশোর। পরে তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি জানার পর দুই কিশোরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তাদের অভিভাবকেরা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় ট্যুরিষ্ট পুলিশের কার্যালয়ে আসেন। এসময় স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও নগদ টাকাসহ তাদেরকে অভিভাকদের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়।
এসময় কিশোর সাইফুল ইসলামের বাবা শামসুল ইসলাম ট্যুরিষ্ট পুলিশের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।