ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিবন্ধিত প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) এর চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ অনুযায়ী ইমারতের নকশা প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। মূলতঃ নিবন্ধিত প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের সঠিক ও যথাযথভাবে নকশা প্রণয়নে উদ্বুদ্ধ করতেই কউক কর্তৃপক্ষের এমন আয়োজন।
এতে কউক চেয়ারম্যান বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী যথাযথভাবে ইমারত নির্মাণ করে আমরা একটি নিশ্চিত ঝুঁকিমুক্ত, নিরাপদ ও পরিকল্পিত পর্যটন শহর গড়ে তুলতে পারি। এ জন্য ভুমি মালিকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের যথাযথভাবে নকশা প্রণয়ন করা খুবই জরুরী।
তিনি বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি দুর্নীতিমুক্ত সহজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ইমারতের নকশা অনুমোদনের লক্ষ্যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ অনুসারে নকশাসহ আনুসাঙ্গিক কাগজপত্রাদি জমা দিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা সহজ সেবা দিতে বদ্ধ পরিকর। বিগত ২৩ জানুয়ারী থেকে সেটা করে আসছি। এ ব্যাপারে কারো কোন অভিযোগ থাকলে তা সরাসরি কিংবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কউককে জানানো জন্যও তিনি আহ্বান জানান।
ডায়মন্ড সিমেন্টের সার্বিক সহযোগিতায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম এবং ডায়মন্ড সিমেন্টের ডিজিএম আবদুর রহিম। অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, ডা: সাইফুদ্দিন ফরাজি, আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা এবং এডভোকেট প্রতিভা দাশ।
সভায় টেকনক্যাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী ও অথরাইজ্্ড অফিসার ফজলুল করিম। কর্মশালা শেষে কউকের নিবন্ধিত ৪৯ জন প্রকৌশলী, স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
