শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সে সাথে পাল্টে যাচ্ছে রামু-কক্সবাজার, ঈদগাঁওর চিত্র। রামুতে সেনা নিবাস, বিজিবি ক্যাম্প, ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। রামুতে লাখো মানুষের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। এর থেকে পিছিয়ে নেই সদরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও। ডিসি সড়কের নির্মাণ কাজ, গোমাতলী বেড়ীবাঁধের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। কবি নুরুল হুদা সড়ক, লুতু মিয়া সড়ক, আলমগীর চৌধুরী সড়ক, শেখ রাসেল ক্রীড়া স্টেডিয়াম, গজালিয়া সড়ক, ইসলামপুরে একাধিক সড়ক, ভোমরিয়াঘোনা সড়ক ও বেড়ীবাঁধ ও স্লুইচ গেইটসহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে ঈদগাঁওতে। ১ নভেম্বর বুধবার বিকালে জালালাবাদ-ইসলামাবাদ সংযুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এসটিএম রাজা মিয়া সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পূর্ববর্তী আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, ঈদগাঁওকে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে রূপান্তরিত করতে ইতিমধ্যে থানার জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অতীতে ঈদগাঁও থেকে নির্বাচিত কোন সংসদ সদস্য উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেনি। বরং নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। ঈদগড় বউঘাটে ব্রীজ, খুনিয়া পালংয়ে সড়ক নির্মাণ করে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটিয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তারাই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন দেখে। লুটেপুটে খেয়ে ভোটারের কাছে ভোটের জন্য গেলে লাল কার্ড দেখাবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি এসময় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কক্সবাজার ত্রাণ বিতরণের নামে তামাশা করতে আসছিল। জনগণ তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার আশা করলেও তা দেয়নি জনতা। আগামী ৪ নভেম্বর রামুর ঐতিহাসিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবাইদুল কাদেরের জনসভায় খালেদা জিয়ার চেয়ে দ্বিগুণ জনগণ হবে বলে ঘোষণা দেন সাংসদ। ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. নুর ছিদ্দিকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এমইউপির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু, সদর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, সদর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান আজাদ, জাললাবাদ আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন ছোটন রাজা, সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দীন জয়, অর্থ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম এমইউপি, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ উদ্দীন খোকা, সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ উদ্দীন রাসেল প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হুমায়ুন তাহের চৌধুরী হিমু, যুগ্ম সম্পাদক এস.এম বদিউল আলম আমির, দপ্তর সম্পাদক মহিদুল্লাহ, ঈদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ, পোকখালী আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাহের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, জালালাবাদ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মমতাজুল ইসলাম রিয়াজ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এহেছানুল হক, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মনির, সদর যুবলীগের সহ-সভাপতি ওসমান সরওয়ার ডিপো, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল কবির কোম্পানী প্রকাশ সাড়া নুরু, উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক বান্ডি এমইউপি, জালালাবাদ যুবলীগের সভাপতি হাসান তারেক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা, ঈদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এনাম রনি, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ নেতা মনিরুল হক মনির, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশফাক উদ্দীন আরফাতসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ, বাস্তুহারালীগ, স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী, ফানির্চার ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার জনতা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, কক্সবাজার এলজিইডির বাস্তবায়নে আইআরডি আইডিপি-২ শীর্ষক প্রকল্পের ঈদগাঁও ফুলেশ^রী নদীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঁশঘাটা ব্রীজটি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিয়া সেতুর নামকরণ করে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে। এ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ব্যবসায়ীদের মাঝে ফিরে আসবে প্রাণ চাঞ্চল্য। গত ২ বছর পূর্বে পাহাড়ী ঢলের পানিতে ধ্বসে যায় ব্রীজটি। দীর্ঘদিন ঝুলন্ত সেতু দিয়ে যাতায়াত করে আসছিল স্থানীয়রা। ব্রীজটি নির্মাণের খবর শোনে এলাকাবাসীর মাঝে উচ্ছ্বাসের আমেজ বিরাজ করছে।