মোঃ ফরিদ :
তীব্র যানজটে নাভিশ্বাস উঠেছে কক্সবাজার শহরবাসীর জীবন যাত্রায়। শহরে মাত্রাতিরিক্ত অবৈধ টমটম, মাহিন্দ্র ও রিক্সা চলাচলের কারনে দিন দিন যানজটে বেড়েই চলেছে। ফলে যানজটে নাকাল শহরবাসীকে ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১ থেকে ২ ঘন্টা। সকাল থেকে দুপুর আবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বাজারঘাটা, লালদিঘীর পাড়, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, বার্মিজ মার্কেট, কালুর দোকান, হাসপাতাল সড়ক ও বড় বাজার এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। এতে করে যেমন করে মানুষ কর্ম ঘন্টা নষ্ট হচ্ছে, ঠিক তেমনি ভাবে ব্যাঘাত ঘটছে মানুষের নিত্য নৈমত্তিক কর্মকান্ডেও।। গত কিছু দিন ধরে যানজটে নাকাল হয়ে পড়েছে শহরবাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট । রিক্সা আর টমটমের শহরে কক্সবাজার পা ফেলায় যেন আজন্ম পাপ হয়েছে। শহরের লালদিঘীর পাড় থেকে বার্মিজ মার্কেট পযন্ত ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ১/২ ঘন্টার সময় লেগে যায়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত দূরঘটনা ঘটে যাচ্ছে। দূরঘটনার কারণ হিসাবে দেখা যায় কম বয়সের শিশু আর আনবিঙ্গ চালক। এতে কোটবির্ন্ডিং এ মামলায় হাজিরা দিতে আসেন বা অফিসের কাজে আসেন তারা কখনোও সময়মতো পৌঁছতে পারছেন না। যানজটের কারন হচ্ছে লাইসেন্সধারী ও লাইসেন্স বিহীন টমটম ও রিক্সার ছড়াছড়ি। শহরবাসী ও পর্যটকদের যানজটের কবল থেকে রক্ষা করতে গিয়ে জনবল সংকটে থাকা কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগ হিমশিম খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা জানান- সদস্য সংখ্যা কম হলেও যারা রয়েছে তারা কঠোর পরিশ্রম করে যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পৌরবাসীর দাবি যত দ্রুত সম্ভব লাইসেন্স বিহীন টমটম আর অপাপ্ত বয়স্ক চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেন।এছাড়াও মালবাহী গাড়ি যেখানে সেখানে পারর্কিং যানজটের অন্যতম কারন। দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন না করায় এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন শহরবাসী