গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া :
উখিয়ার এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে তুলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম টাইপালং গ্রামের বাসিন্দা শামশুল আলমের কিশোরী কন্যা টাইপালং হামেদিয়া দারুচ্ছুন্না দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী( নাম গোপন রাখা হল) (১৫) । সে বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী মোঃ ইদ্রিসের নেতৃত্বে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঐদিন অপহরণকারী মোঃ ইদ্রিস গং তাকে  কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সী-ল্যান্ডের ৪০৮ নম্বর কক্ষে তুলে। হোটেল রেজিষ্টারে আসল  নামটি গোপন রেখে  মোহছেনা আক্তার পাখি লিখে । রাজি করতে না পেরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এবং জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে বার বার ধর্ষণ করে। অপহরনের ঘটনাটি ঘটে ৩০ সেপ্টেম্বর ।

এ ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ইং (সংশোধিত ২০০৩ইং) এর ৭/৯(১)/৩০ মতে ট্রাইব্যুনাল জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আসামী উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টি এন্ড টি গ্রামের জালাল আহমদের পুত্র অপহরনের প্রধান হোতা ও ধর্ষনকারী মোঃ ইদ্রিস ও তার সহযোগী টি এন্ড টি গ্রামের মৃত জাগির হোছনের পুত্র বেলাল আহমদ ভুলু। গত ১৯ অক্টোবর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনায় জড়িত ধর্ষনকারীর বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কক্সবাজার পুলিশ ইনভেষ্টিকেশন ব্যুরোকে (পি.বি.আই) নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে টাইপালং হামেদিয়া দারুচ্ছুন্না দাখিল মাদ্রাসার সুপার মৌলানা আবদুর রহিম বলেছেন, তাঁর মাদ্রাসায় পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষনের ঘটনা জঘন্য অপরাধ আখ্যায়িত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় ছাত্রীর অভিভাবক ও সচেতন মহল তাদের পড়ুয়া মেয়েদের নিয়ে আতংকে থাকবে।